ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবো: জয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
১৬ কোটি মানুষকেই ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনবো: জয় সাতটি কলেজে ওয়াইফাই সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন জয়।

ঢাকা: দেশের ১৬ কোটি মানুষকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

রোববার (১২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশে সবার দাবি সব জায়গায় ওয়াইফাই জোন করে দেওয়ার।

বিশেষ করে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের। সে কারণেই আমরা এই প্রকল্প হাতে নিয়েছিলাম। ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা যখন শুরু করি, তখন অনলাইন তো দূরের কথা, ইন্টারনেট কানেকশনেরই অভাব ছিল। মাত্র ১ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা পেত। এখন সেটা প্রায় ৬০ শতাংশে চলে এসেছে। আমরা গত ১০ বছরে ১০ কোটির বেশি মানুষকে অনলাইনে এনেছি। ’

এদিন দেশের সব সরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় ও ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন সাতটি কলেজে ওয়াইফাই সংযোগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জয়।  

তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণদের দাবি, সব জায়গা তাদের ওয়াইফাই করে দেওয়া। সেটা কিন্তু আমাদের আওয়ামী লীগ সরকার করে যাচ্ছে। এই প্রকল্প হলো সেটারই অংশ। এই কাজ চলমান থাকবে। সারাদেশেই আমরা ইন্টারনেট আনছি, ইউনিয়ন পর্যন্ত আমরা ফাইবার নিয়ে যাচ্ছি। ’

প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশের সকল ১৬ কোটি মানুষকেই আমরা অনলাইনে আনবো। এটা হচ্ছে আমাদের ওয়াদা। ’

অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, সচিব নূর-উর-রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ডাক ও টেলিযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দায়িত্ব গ্রহণের পর ‘ইনস্টলেশন অব অপটিক্যাল ফাইভার ক্যাবল নেটওয়ার্ক অ্যাট গভর্মেন্ট কলেজ, ইউনিভার্সিটি অ্যান্ড ট্রেনিং ইনস্টিটিউট’ শীর্ষক প্রকল্পটি গৃহীত হয়। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন বিটিসিএল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে বেসরকারি কলেজ ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং এরপর স্কুলসহ অন্য সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ওয়াইফাই চালু করা হবে।

প্রথম এক বছর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১০ এমবিপিএস বা প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করা হবে। চলতি বছরের জুনের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়ন শেষ হবে। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

৫৮৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৪৩, ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৫, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৭, বরিশাল বিভাগে ৪৫, খুলনা বিভাগে ৮৩, রাজশাহী বিভাগে ৮৫, রংপুর বিভাগে ৫৬ ও সিলেট বিভাগের ৩৩টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এমআইএইচ/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।