ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্টফোনে বাসাবাড়ির ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
স্মার্টফোনে বাসাবাড়ির ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেমের কার্যকারিতা দেখাচ্ছেন প্রযুক্তিবিদরা

ঢাকা: বাসাবাড়ির ইলেকট্রনিক সামগ্রী নিয়ে যারা চিন্তিত থাকেন তাদের জন্য এসেছে ‘স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেম’। এই প্রযুক্তিতে হাতের স্মার্টফোনটি দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে টিভি, ফ্রিজ, ফ্যান, বৈদ্যুতিক মোটর।

সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে চলা স্কিলস কম্পিটিশনে স্থান পেয়েছে এই প্রযুক্তি।  

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) ঢাকার আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে প্রকল্পটি নিয়ে এসেছে রংপুরের ইমেজ পলপটেকনিক ইনস্টিটিউট।

স্মার্ট হোম অটোমেশন সিস্টেমে গ্যাস সেন্সরের মাধ্যমে রান্নাঘরের গ্যাসলাইনের লিকেজ জনিত দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব। বাগানের মাটির আর্দ্রতার পরিমাণ অনুযায়ী বাসার মোটর অটোমেটিক চালু বা বন্ধ হবে। ফলে পানির অপচয় ও পরিচালন ব্যয় কমে আসবে। বৃষ্টি শুরু হলে পানির ফোঁটা সেন্সরে পড়ার সাথ সাথে দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

ব্লুটুথের মাধ্যমে মোবাইল অ্যাপস দিয়ে ঘরের বৈদ্যুতিক সামগ্রী চালু ও বন্ধ হবে এই প্রযুক্তিতে। সূর্যের আলোকরশ্মির আধিক্য অনুযায়ী অটোমেটিক সোলার প্যানেল ঘুরে চার্জ গ্রহণ করে বাসাবাড়ির চাহিদা পূরণ করবে। এর মাধ্যমে অতিরিক্ত পরিমাণ চার্জ গ্রহণ ও পরিচালন ব্যয় কমে আসবে।

আল্ট্রাসনিক সেন্সরের মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে বাসা-বাড়িতে পানির ট্যাংকির পানির গভীরতা ও উচ্চতা নির্ণয়ের মাধ্যমে পানির ওভারফ্লো রোধ করে অপচয় কমানো যাবে।

এছাড়াও আইডি কার্ড ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে দরজা খোলা ও বন্ধ করার সুবিধা রয়েছে এই প্রকল্পে।

টিম লিডার ধনঞ্জয়ের নেতৃত্বে এই প্রকল্পে কাজ করেছেন রাশেদুল ইসলাম ও জাকির হোসেন।

বাংলানিউজকে ধনঞ্জয় জানান, একটি বাড়িতে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে ব্যয় হবে প্রায় দুই লাখ টাকা। ১১টি প্রযুক্তি নিয়ে করা এই প্রকল্পে প্রতিটির জন্য খরচ পড়বে ৮-১০ হাজার টাকা।

স্কিল কিম্পটিশনের প্রকল্প টিমের সঙ্গে এসেছেন রংপুরের ইমেজ পলপটেকনিক ইনস্টিটিউট ভাইস-প্রিন্সিপাল জাকির হোসেন ও গাইড টিচার রাতুল ইসলাম।

ভাইস-প্রিন্সিপাল জানান, এই সিস্টেম যেমন পরিবশবান্ধব তেমনি পরিচালন ব্যয়ও কম। সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে ডিজিটাল বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

প্রকল্পটি দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ অন্যান্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।