ঢাকা, সোমবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

আন্তর্জাতিক কলরেট: সর্বোচ্চ সীমার অপেক্ষায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
আন্তর্জাতিক কলরেট: সর্বোচ্চ সীমার অপেক্ষায়

ঢাকা: আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে কলরেটের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সিদ্ধান্ত পেলে রাজস্ব ক্ষতি ও অবৈধ কল টার্মিনেশন কমে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


 
পাশাপাশি সিন্ডিকেটের বাড়ানো কলরেটের আয়ের উপর রাজস্ব চায় সরকার।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ বলছে, কলরেটের সর্বোচ্চ সীমার জন্য সরকারের সিদ্ধান্ত পেলে ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) অপারেটরদের এ বিষয়ে নির্দেশনা দেবে বিটিআরসি।
 
বিটিআরসি জানায়, কলরেটের সর্বোচ্চ সীমা ১ দশমিক ৫ সেন্ট থেকে ১ দশমিক ৭৫ সেন্ট নির্ধারণের একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে বিটিআরসি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ অনুমোদনের জন্য সেই প্রস্তাব সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে।
 
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানায়, সাত অপারেটর জোট বেঁধে কলরেট দেড় সেন্ট থেকে দুই সেন্ট বাড়ানোর ফলে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অপারেটরগুলো হলো- ইউনিক ইনফোওয়ে, ডিজিকন টেলিকমিউনিকেশন্স, রুটস কমিউনিকেশন্স, গ্লোবাল ভয়েস, মীর টেলিকম, বাংলা ট্র্যাক ও নভো টেলিকম।
 
নিয়মানুযায়ী, প্রতি এক মিনিট কল থেকে যে আয় হয় বিটিআরসি তার ৪০ শতাংশ, ইন্টার কানেকশন এক্সচেঞ্জ (আইসিএক্স) ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ, মোবাইল অপারেটর ২২ দশমিক ৫ শতাংশ এবং আইজিডব্লিউ অপারেটরগুলো বাকি ২০ শতাংশ পেয়ে থাকে।
 
২৩টি অপারেটরের মধ্যে সাতটি আইজিডব্লিউ অপারেটর জোট বেঁধে কলরেট বাড়ানোর ফলে আগের নিয়মেই অর্থের অংশ পাচ্ছে সরকার। নতুন নিয়মে মাত্র সাতটি অপারেটর কল টার্মিনেট বা গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছুতে পারে। এতে রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে সরকারের, কিন্তু লাভবান হচ্ছে অপারেটরগুলো।
 
আইজিডব্লিউ অপারেটর ফোরাম (আইওএফ) নামে ওই সংগঠনটি ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ১ টাকা ১৭ পয়সা (এক সেন্ট) থেকে কলরেট বাড়িয়ে ১ টাকা ৫৬ পয়সা (দুই সেন্ট) করেছিল।
 
অপারেটরগুলো যে বাড়তি আয় করছে তার উপর রাজস্ব নেওয়ার জন্য বিটিআরসি’র প্রস্তাবে টেলিযোগাযোগ বিভাগ একটি অংশ যোগ করেছে বলে একটি দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে।
 
বিটিআরসি’র প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সিদ্ধান্ত পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
এমআইএইচ/জেডএম


** সিন্ডিকেট চক্রে আন্তর্জাতিক কল, দিনে ক্ষতি অর্ধকোটি টাকা
** অবৈধ কব্জায় আন্তর্জাতিক কল, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।