ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘ইউনিক মডেল’ দেবে বিটিআরসি: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ‘ইউনিক মডেল’ দেবে বিটিআরসি: পলক

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি পিলার তথা স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট বাস্তবায়নে অনবদ্য ভূমিকা রাখবে বিটিআরসি।  

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওস্থ বাংলাদেশ টেলিযোগযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) কার্যালয়ে প্রথমবারের মতো পরিদর্শনকালে বিটিআরসি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এ সময় বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার প্রতিমন্ত্রীকে কমিশনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।  

প্রতিমন্ত্রী পলক বলেন, আমরা চাই আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসি নতুন একটি উদাহরণ ও ইউনিক মডেল তৈরি করবে যা পুরো বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হবে।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে শৃঙ্খলা রক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা, রাজস্ব অর্জনের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং টেলিযোগাযোগ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ফিজিক্যাল সিকিউরিটি নিশ্চিতে অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে বিটিআরসি।  

বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে ডিজিটাল বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতকে নিরাপদ রাখতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে মোবাইল টেলিফোনের মনোপলি ভেঙ্গে দেওয়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের কাছে মোবাইল ফোন সুলভে পৌঁছে গেছে। আর আইসিটি উপদেষ্টার কল্যাণে মোবাইল ফোন ও ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।  

ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন, সবার কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়া, ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হওয়া বিষয়গুলোতে বিটিআরসি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা চাই আগামী দিনে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিটিআরসি নতুন একটা উদাহরণ ও ইউনিক মডেল তৈরি করবে।  

সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান বলেন, সরকার কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা ও নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং বিটিআরসিকে সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। আগামীতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ কাজ করবে।  

টেলিযোগাযোগ সুবিধা প্রাপ্তিতে বিভাজন শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সমন্বয় জরুরি উল্লেখ করে সভায় অ্যাসপায়ার টু ইনোভেটের (এটুআই) পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে লাস্ট মাইল এবং লাস্ট পার্সন কানেক্টিভিটি হবে মূল অবকাঠামো।

বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত বৈঠকে বিটিআরসির ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ, লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের কমিশনার ড. মুশফিক মান্নান চৌধুরী, ডাক ও টেলিযোগযোগ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (টেলিকম) মোহাম্মদ গোলাম সরওয়ার ই কায়নাতসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৬, ২০২৩
এমআইএইচ/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।