ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

তথ্যপ্রযুক্তি

ফ্রিল্যান্সাররা হবেন স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকাশক্তি: পলক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
ফ্রিল্যান্সাররা হবেন স্মার্ট বাংলাদেশের চালিকাশক্তি: পলক

ঢাকা: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আইটি ফ্রিল্যান্সার ও উদ্যোক্তারা হবেন চালিকা শক্তি।  

তিনি বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে আইসিটি বিভাগের স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড ৫ লাখ থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ইকুইটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড দেওয়া হচ্ছে।

 

প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যান্য তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করতে তিনি সফল ফ্রিল্যান্সাদের প্রতি আহ্বান জানান।  

প্রতিমন্ত্রী বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটরিয়ামে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ‘লর্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ঢাকার জেলার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নির্বাচিত ৩১৮ জন সফল ফ্রিল্যান্সারদের মাঝে ল্যাপটপ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

দেশে সাড়ে ছয় লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছে উল্লেখ করে পলক বলেন, সফল ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দিয়ে যদি উদ্যোক্তা হতে পারেন, তাহলে আরও লাখ লাখ তরুণ উদ্যোক্তা সৃষ্টি হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ স্মার্ট বাংলাদেশের তরুণরা চাকরির পিছনে ঘুরবে না, চাকরির ক্ষেত্র তৈরি করবে।  

তিনি বলেন, বিদেশে কর্মরত প্রবাসী শ্রমিক ভাইয়েরা রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ করে আইটি ফ্রিল্যান্সার বা উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে পারলে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স আয় করতে পারবে। এ লক্ষ্য নিয়েই লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের আইটি ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করতে আইসিটি বিভাগের আইডিয়া প্রকল্প থেকে ১০ লাখ এবং এটুআই প্রোগ্রামের ইনোভেশন ফান্ড থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত সিড মানি এবং রকেট্রি, রোবটিক্স ইনোভেশন চ্যালেঞ্জের ক্ষেত্রে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত গ্রান্টসহ প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে হাইটেক পার্কসমূহে কো-ওয়ার্কিং স্পেস দেওয়া হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের কারণে আমাদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। সে অনুযায়ী দক্ষতা ও যোগ্যতা অর্জনের ব্যর্থ হলে আমরা মারাত্মক সংকটের মধ্যে পড়বো।  

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইনিং অ্যান্ড মেনুফ্যাকচারিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিক্স এবং সাইবার সিকিউরিটি এ চারটি বিষয়ে জোর দিতে বলেছেন।

অনুষ্ঠানে আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মমতাজ বেগম, লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হুমায়ুন কবীর।

পরে প্রতিমন্ত্রী সফল ফ্রিল্যান্সারদের হাতে ল্যাপটপ ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩
এমআইএইচ/এনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।