ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

ক্ষতির মুখে কলকাতাসহ রাজ্যের বিমানবন্দরগুলো

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
ক্ষতির মুখে কলকাতাসহ রাজ্যের বিমানবন্দরগুলো

কলকাতা: ২০২০-২১ অর্থবছরে বড় অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে কলকাতা বিমানবন্দর। লিখিতভাবে এ তথ্য লোকসভায় পেশ করেছে ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক।

তবে শুধু কলকাতা বিমানবন্দরই নয়। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বাগডোগরা, বালুরঘাট, বেহালা, কোচবিহার ও মালদহ বিমানবন্দরের লাভক্ষতির যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে তাও যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে হচ্ছে। কারণ কলকাতার বেহালা, উত্তরবঙ্গের বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দর গত তিন অর্থবছরে ক্রমাগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে কলকাতা বিমানবন্দরের ক্ষতির পরিমাণ ৩১ কোটি রুপিরও বেশি। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবছরে কলকাতা বিমানবন্দরে লাভের পরিমাণ ছিল ৫৪৫ কোটি ৭ লাখ রুপির বেশি। ক্ষতির প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক স্পষ্ট করে না জানালেও অভিজ্ঞমহলের মতে, ২০২০ সালে করোনার কারণে ‘লকডাউনের’ প্রভাব এক্ষেত্রে থাকতে পারে। তবে কলকাতা বিমানবন্দর ক্ষতির মুখ দেখলেও শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরকে এখনও ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়নি। তবে লাভের পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। ২০১৯-২০ সালে বাগডোগরা বিমানবন্দরের লাভের পরিমাণ ছিল ১৪ কোটি ২৪ লাখ রুপি। ২০২০-২১ অর্থবছরে তা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ২৫ লাখ রুপি। এক্ষেত্রেও ‘লকডাউনের’ প্রভাব থাকতে পারে বলেই মত।

কিন্তু বেহালা, বালুরঘাট ও কোচবিহার বিমানবন্দরের লাভক্ষতির খতিয়ান বাস্তবিকই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেহালা বিমানবন্দর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সামান্য লাভের মুখ দেখলেও রাজ্যের অন্য দুই বিমানবন্দর শুধু ক্ষতিরই সম্মুখীন হয়েছে। ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরে বেহালা বিমানবন্দরও লাভের মুখ দেখেনি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে কোচবিহার বিমানবন্দরের ক্ষতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫ কোটি রুপি।

লাভক্ষতির হিসেব নিয়ে দেশটির মোট ১৩৬টি বিমানবন্দরের ২০১৮-১৯, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ অর্থবছরের পরিসংখ্যান লোকসভায় লিখিতভাবে পেশ করেছেন অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ভিকে সিং।

পশ্চিমবঙ্গের সবকয়টি বিমানবন্দরই সম্পূর্ণভাবে এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এএআই) নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে দিল্লি, মুম্বই, চণ্ডিগড় ও নাগপুরে এএআই জয়েন্ট ভেঞ্চারের মাধ্যমে কাজকর্ম চালায়। একইসঙ্গে হায়দ্রাবাদ, বেঙ্গালুরু ও কান্নুর বিমানবন্দর এএআই’র অংশীদারিত্ব রয়েছে। প্রতিটি বিমানবন্দরের তথ্যই লোকসভায় লিখিতভাবে পেশ করেছে মন্ত্রক। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে এ ছবি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০২১
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।