বুধবার (১০ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে এসে আসাম সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আসামের নাগরিকত্ব বিষয়ক প্রথম খসড়াতে প্রায় ৭০ শতাংশ বাঙালির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও আসামের সরকারের নাম উল্লেখ না করে এক জনসভায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, ‘আগুন নিয়ে খেলবেন না। আসামে বাঙালিদের গায়ে হাত পড়লে ছেড়ে কথা বলবো না। ’ এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আসামের দিসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়।
মমতার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগের প্রশ্নের জবাবে ফিরাদ হাকিম বলেন, ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অনেক মামলা হয়েছে, তাতে কিছু যায় আসে না। সত্য কথা বলা এবং বাঙালির উপর অত্যাচার হলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলবেনই। যেখানেই অন্যায় হবে মুখ্যমন্ত্রী তার প্রতিবাদ করে এসেছেন এবং আগামীদিনেও করবেন।
আসামে বাঙালিদের থাকতে না দেওয়া হলে পশ্চিমবঙ্গ দেবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেদিন পরিস্থিতি আরও গভীর হবে।
ভারতের নাগরিক হিসেবে যুক্ত হওয়ার জন্য আসামে ৩ কোটি ২৯ লাখ মানুষের আবেদন জমা পড়েছিল। গত ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশিত খসড়ায় ১ কোটি ৯০ লাখ আবেদনকারীর নাম ওঠে। বাকি ১ কোটি ৩৯ লাখ মানুষের নাম বাদ পড়ে।
নাগরিক তালিকায় যাদের নাম নেই তাদের রাষ্ট্রীয় কোনো সুযোগ-সুবিধা মিলবে না বলে ঘোষণা দেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। এই ঘোষণার পর আসাম রাজ্য জুড়ে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
আসাম সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথম দফায় খসড়ার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী বছর দ্বিতীয় দফার খসড়া প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০১ ঘণ্টা, ১০ জানুয়ারি, ২০১৮
ভিএস/আরআর