ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারত

লালকৃষ্ণ আদভানিসহ ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন আরও ৪ জন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
লালকৃষ্ণ আদভানিসহ ‘ভারতরত্ন’ পাচ্ছেন আরও ৪ জন

কলকাতা: চলতি বছর ‘ভারতরত্ন’ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে দেশটির দুই সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত চৌধুরী চরণ সিং ও পি ভি নরসিমারাওকে। একইভাবে মরণোত্তর ভারতরত্ন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে ভারতে সবুজ বিপ্লবের ক্ষেত্রে অন্যতম অবদান রাখা প্রসিদ্ধ কৃষি বিজ্ঞানী প্রয়াত এম এস স্বামীনাথনকেও।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘোষণা দিয়েছেন।

কয়েক দিন আগে ভারতরত্ন সম্মাননার নাম ঘোষণা হয়েছিল দেশটির সিনিয়র বিজেপি নেতা ও দেশটির সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানিকে এবং সমাজসেবী ও বিহারের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরী ঠাকুরকে (মরণোত্তর)।

প্রসঙ্গত, চৌধুরী চরণ সিং ছিলেন ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী। তার জন্ম ১৯০২ সালের ২৩ ডিসেম্বর। মৃত্যু ১৯৮৭ সালের ২৯ মে। কংগ্রেসের এ নেতা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এর জন্য কারাগারেও যেতে হয়েছিল তাকে। একটা সময় কংগ্রেস ছেড়ে ‘লোকদল’ নামে একটি রাজনৈতিক দলও গঠন করেছিলেন তিনি।

অন্যদিকে পামুলাপার্থী ভেঙ্কটা নরসিমা রাও ছিলেন ভারতের ৯তম প্রধানমন্ত্রী। জন্ম ১৯২১ সালের ২৮ জুন। পেশায় আইনজীবী নরসিমা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ভারতীয় অর্থনীতিতে উদারনৈতিক পুনর্গঠনের প্রবর্তনের জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ভারতীয় কৃষি বিজ্ঞানী, উদ্ভিদ জিনতত্ত্ববিদ, প্রশাসক ও মানবতাবাদী ব্যক্তিত্ব মানকম্বু সাম্বাসিবন স্বামীনাথন-এর জন্ম ১৯২৫ সালের ৭ আগস্ট।  

মূলত ভারতের কৃষিক্ষেত্রে সবুজ বিপ্লবের প্রধান স্থপতি ছিলেন স্বামীনাথন। তার হাত ধরেই ভারতে উচ্চ ফলনশীল গম ও ধানের জাত প্রবর্তন ও পানি সেচ ইত্যাদির মাধ্যমে আসে আমূল পরিবর্তন। ভারতের কৃষিক্ষেত্রে আসে নতুন সূর্যোদয়। তাই তিনি ভারতে সবুজ বিপ্লবের জনক হিসেবে পরিচিত।

নরসিমহা রাও-এর দূরদর্শিতার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক্সে (টুইট) লিখেছেন, একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত এবং দেশনেতা হিসেবে নরসিমহা রাও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভারতকে ব্যাপকভাবে সেবা করেছেন। অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বহু বছর ধরে সংসদ ও বিধানসভার সদস্য হিসেবে তিনি যে কাজ করেছেন। তার জন্য তিনি সবার কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রীর অভিমত নরসিমহা রাও-এর দূরদর্শী নেতৃত্ব ভারতকে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত করতে, দেশের সমৃদ্ধির জন্য একটি শক্ত ভিত্তি স্থাপনের ক্ষেত্রে সহায়ক ছিল।

চৌধুরী চরণ সিংয়ের অবদানের কথা তুলে ধরে মোদি লিখেছেন, দেশের জন্য তার অতুলনীয় অবদানের জন্য এ সম্মান তাকে উৎসর্গ করা হলো। তিনি তার সমগ্র জীবন কৃষকদের অধিকার ও কল্যাণে উৎসর্গ করেছিলেন। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হোক বা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি একজন বিধায়ক হিসেবেও তিনি সর্বদা জাতি গঠনে প্রেরণা দিয়েছেন। আমাদের কৃষক ভাই ও বোনদের প্রতি তার উৎসর্গ এবং জরুরি অবস্থার সময় গণতন্ত্রের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি সমগ্র জাতির জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।

এম এস স্বামীনাথনকে দেশের ‘সবুজ বিপ্লবের’ একজন মূল স্থপতি হিসেবে অভিহিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি ও কৃষকদের কল্যাণে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃষি বিজ্ঞানীকে ভারতরত্ন দিয়েছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪
ভিএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।