ঢাকা, বুধবার, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২২ মে ২০২৪, ১৩ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে ব্যতিক্রমী ক্যাম্পেইন

স্বাস্থ্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে ব্যতিক্রমী ক্যাম্পেইন

ঢাকা: ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষে দেশে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে শুরু হওয়া বিশেষ ক্যাম্পেইনে বেশ সাড়া পড়েছে। এখন পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগে প্রায় ১০ লাখ স্কুল শিক্ষার্থী অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধন করে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণের অঙ্গীকার করেছে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) এর আয়োজনে ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ এ স্বপ্নপূরণের লক্ষ্য নিয়ে ২০১৯ সালের অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। দেশে করোনা পরিস্থিতির আগ পর্যন্ত এতে প্রায় তিন হাজার স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। ওই সময়ে স্কুলগুলোতে শিক্ষকরা কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত ও সচেতন করেন। ক্যাম্পেইনে শপথ গ্রহণের পাশাপাশি ভিডিও প্রদর্শনী, রচনা ও পোস্টার প্রতিযোগিতা এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রতিক্রিয়া তুলে ধরা হয়।

এ বছরের মার্চ মাসে করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্যাম্পেইনে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে কিশোর-কিশোরীদের পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধে কি খাওয়া উচিত তা সোশ্যাল মিডিয়াতে তুলে ধরা হয়। প্রচার করা হয় বিশেষ কার্টুন সিরিজ। পাশাপাশি ‘ভালো খাবো, ভালো থাকবো’ এ ফেস বুক পেইজে স্ট্যাটাস দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য (এমপি) মাশরাফি বিন মর্তুজা।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘প্রতিটি শপথ শিশুদেরকে নিরাপদ খাবারে উৎসাহিত করবে। ’ এছাড়া বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অংশ নেন তরুণ উদ্যোক্তা আইমন সাদিক, ফুড ব্লগার ইফতেখার রাফসান ও তারকা ফুটবলার জামাল ভূঁইয়া।  

আয়োজকরা জানান, কিশোর-কিশোরীদের এ ভালো খাবার গ্রহণে দেশে পুষ্টির উন্নয়নে একটা বড় পরিবর্তন আনতে পারবে। কারণ ভালো ও পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীর সুস্থ থাকে। আর শরীর ঠিক থাকলে মনও ভালো থাকে। শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকলে শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যত স্বপ্নপূরণে অনেকটা এগিয়ে যায়।  

গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশন (গেইন)- বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. রুদাবা খন্দকার বলেন, কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে এ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। এ সময় পর্যন্ত ১০ লাখ শিক্ষার্থী নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণে শপথ গ্রহণ করে। এ স্বল্প সময়ে এটা আমাদের একটা বড় অর্জন। আর এটা সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে কার্যক্রম পরিচালনার কারণে। এ সাফল্য অব্যাহত রাখতে আমি আমাদের অংশীদার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের কিশোরী-কিশোরীদের স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার সরবরাহ বাড়ানোর আহবান জানাচ্ছি।  

 প্রসঙ্গত, স্টেট অব ফুড সিকিউরিটি অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ ২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী দেশে ১০-১৮ বছরের কিশোরীদের মধ্যে ৩৬ শতাংশ অপুষ্টির শিকার। বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক অ্যান্ড হেলথ সার্ভে-২০১৪ এর তথ্য অনুযায়ী ১৫ থেকে ১৯ বছরের বিবাহিত কিশোরীদের ৩১ শতাংশ অপুষ্টিতে ভূগছে। এইরকম প্রেক্ষাপটে পুষ্টিকর, ভেজালমুক্ত, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবার গ্রহণে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দেশে কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে এ ব্যতিক্রমী ক্যাম্পেইন শুরু হয়।  যা এখনও অব্যাহত আছে।

ক্যাম্পেইনে আর্থিক পৃষ্টপোষকতা করেছে নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।