ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

‘করোনা মার্চে নয়, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এসেছিল দেশে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০২০
‘করোনা মার্চে নয়, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এসেছিল দেশে’ প্রতীকী ছবি

ঢাকা: করোনা ভাইরাস মার্চে নয়, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে প্রবেশ করেছিল দেশে। একটি সফটওয়্যার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার করে এ তথ্য পেয়েছেন গবেষকরা।

সোমবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকায় কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব, বিস্তৃতি বিষয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর-বি) ও উন্নয়ন সংস্থা ইউএসআইডি ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

গত ১৮ এপ্রিল থেকে ৫ জুলাইয়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকার ২৫টি ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৬৯৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণা করে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর-বি) ও সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)।

জরিপে পাওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, সংগ্রহ করা মোট নমুনা পরীক্ষা করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। এমনকি রাজধানীর ৪৫ ভাগ মানুষের শরীরে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি পজিটিভ পাওয়া গেছে। আর বস্তি অঞ্চলে এই হার ৭৪ শতাংশ পাওয়া গেছে।

এই সংখ্যার মধ্যে ৬০ বছরের অধিক বয়সের মানুষের আক্রান্ত হার ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে ১৫ থেকে ১৯ বছরের বয়স্কদের মধ্যে আক্রান্ত হার ১৮ শতাংশ।

এছাড়া দ্বিতীয়বার কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ারও কিছু তথ্য বাংলাদেশে পাওয়া গেছে বলে সেমিনারে জানানো হয়।

গবেষণার তথ্য-উপাত্ত উল্লেখ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ৭২ শতাংশ মানুষের কোনো লক্ষণ উপসর্গ পাওয়া যায়নি। এই লক্ষণ উপসর্গহীন মানুষের সংস্পর্শে এসে অন্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন।

দ্বিতীয়বার সংক্রমণ রুখতে হলে অবশ্যই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে।

করোনা ভাইরাস মার্চে নয়, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে প্রবেশ করেছিল দেশে। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মনে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, কিছু তথ্য-উপাত্ত একটি সফটওয়্যারের মধ্যে আপলোড করা হয়েছিল। তারপর ওই সফটওয়্যার থেকে দেখানো হয়েছে দেশে করোনা ভাইরাস মাঝামাঝিতে এসেছে। এটাকে একেবারে সঠিক ধরা যাবে না।

সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক ও বিশেষ অতিথি ইউএসএআইডি মিশনের পরিচালক ডেরিক এস ব্রাউন।

এছাড়া সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন আইসিডিডিআরবির বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমিদ আহমেদ, আইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন, আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর, আইসিডিডিআরবির ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডাক্তার ফেরদৌসী কাদরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০২০
পিএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।