ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

মায়েদের মাস্ক পরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২০
মায়েদের মাস্ক পরে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ বিশ্ব মাতৃদৃগ্ধ সপ্তাহ পালন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলন

ঢাকা: করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মায়েদের মাস্ক পরে তাদের শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

বিশ্ব মাতৃদৃগ্ধ সপ্তাহ পালন নিয়ে রোববার (৯ আগস্ট) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এমন পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় মায়ের বুকের দুধ খাওয়ালে কোন সমস্যা হবে না। মায়ের দুধে করোনা ভাইরাস থাকে না। নিরাপদে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো যাবে, কোন সমস্যা নেই।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আব্দুল মান্নান বলেন, মায়ের দুধে শিশুর কোভিড-১৯ হয় না। মায়ের দুধ নিরাপদ খাবার।

জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের জাতীয় পুষ্টি সেবা লাইন ডাইরেক্টর ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, করোনা পজিটিভ মা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে পারবেন। মাকে মাস্ক পরতে হবে। গত ছয় মাসে বিজ্ঞান এটাই বলেছে—মা পজিটিভ থাকা অবস্থায় বাচ্চাকে নিরাপদে দুধ খাওয়াতে পারবেন।

৯-১৬ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদৃগ্ধ সপ্তাহ
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে আছে। বিশ্বে মাতৃদুগ্ধ দিয়ে থাকেন ৪০ শতাংশ, আমাদের দেশে বর্তমানে আছে ৬৫ শতাংশ। এটা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক ভারো, এটা আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন। একটি শিশু মায়ের বুকের দুধ পেলে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পায়।

তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ব্রেস্ট ফিডিং ট্রেন্ডস ইনিশিয়েটিভ-২০১৫ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ১৫০টি দেশের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এটা খুবই গর্বের বিষয়।

ছয় মাস বয়স পর্যন্ত একটি শিশুর জন্য মায়ের বুকের দুধই যথেষ্ট জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ছয় মাস পর মায়ের দুধের পাশাপাশি ঘরে তৈরি খাবার খাওয়ালে শিশু সুস্থ থাকবে, অসুখ বিসুখ থেকে রক্ষা পাবে। আমরা শিশুকে পাউডার মিল্ক খাওয়ানোর বিষয়ে নিরুৎসাহিত করছি, এর পরিবর্তে শিশুকে সুষম খাবার দেওয়া যেতে পারে।

এ বছর বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে— ‘সাপোর্ট ব্রেস্টফিডিং ফর এ হেলদিয়ার প্লানেট’।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাতৃদুগ্ধদানের সঙ্গে পরিবেশ/জলবায়ু পরিবর্তনের সম্পর্কে অবহিত, শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করানোকে জলবায়ু বান্ধব সিদ্ধান্ত হিসেবে প্রতিষ্ঠা, বৃহত্তর ফলাফলের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংস্থাকে সম্পৃক্ত এবং মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবী ও মানব স্বাস্থ্যকে উন্নত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করার উদ্দেশ্যে সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে।

সপ্তাহজুড়ে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর উপকারিতার বিষয়ে প্রচার-প্রচারণা, অনলাইনে বয়সভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা, ফেসবুক পোস্ট ও ফোনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ ফ্রি পুষ্টিবার্তা মূলক সেবা দেয়া হবে বলেও জানানো হয়।

স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।