ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয়

ঢাকা: ঢাকার ৭১ শতাংশ সরকারি হাসপাতালে ধূমপান হয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। সম্প্রতি ঢাকার সরকারি হাসপাতালগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন পরিস্থিতি জানতে ৫১টি হাসপাতালে এ জরিপ চালানো হয় বলে জানায় এ সংস্থা।

জরিপে এক-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে কাউকে না কাউকে সরাসরি ধূমপান করতে দেখা যায়। প্রমাণ হিসেবে মেলে সিগারেটের অবশিষ্টাংশ, ধোঁয়ার গন্ধ ইত্যাদি। এছাড়া প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ হাসপাতালে ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহারের প্রমাণ হিসেবে পাওয়া যায় পানের পিক, চুনের দাগ ইত্যাদি। এ বাদে সরাসরি ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করতে দেখা গেছে প্রায় অর্ধেক হাসপাতালে।  

এদিকে ঢাকার ৮০ শতাংশ সরকারি হাসপাতালের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকপণ্য বিক্রি হয় বলে জানায় ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন। এমনকি ১৮ শতাংশ হাসপাতালের সীমানার মধ্যেই এমন দোকান রয়েছে।

হাসপাতালগুলোতে আগত রোগী ও দর্শনার্থীদের তামাক ছাড়ার ব্যাপারে সহায়তা দিতে তামাক নিবৃত্তকরণ ক্লিনিক থাকা জরুরি। কিন্তু ৫১টি হাসপাতালের মধ্যে মাত্র একটিতে এ সুবিধা রয়েছে বলে জরিপে দেখা যায়।  

সেমিনারে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশের অ্যান্টি-টোব্যাকো প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার ডা. আহমাদ খাইরুল আবরার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। সংস্থার সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুল মালিকের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন- সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত। বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত লাইন ডিরেক্টর ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রোগ্রামের ম্যানেজার ডা. রায়হান-ই-জান্নাত।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাবিবে মিল্লাত দেশের সব হাসপাতালে আইন অনুসারে পর্যাপ্ত পরিমাণ তামাকবিরোধী সাইনেজ স্থাপন ও হাসপাতালগুলোর ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকপণ্য বিক্রি বন্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে।  

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, তামাকজাত দ্রব্যের মধ্যে সিগারেট, বিড়ির মতো ধোঁয়াযুক্ত পণ্যগুলো শুধু সেবনকারীর স্বাস্থ্যেরই মারাত্মক ক্ষতি করে না, আশপাশের মানুষেরও সমান ক্ষতি করে। পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ফুসফুসের ক্যান্সার, হৃদরোগ, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা, স্ট্রোক ও প্রজনন সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস) ২০১৭-এ দেখা যায়, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও প্রায় ১৩ ভাগ মানুষ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।

হাসপাতালগুলোকে তামাকমুক্ত করতে কর্তৃপক্ষের সচেতন হওয়া জরুরি বলেও মত দেন বক্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০ 
পিএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad