ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বিএসএমএমইউতে এইডসে আক্রান্ত ৭৫ মা’র ৬৯ শিশু এইচআইভিমুক্ত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
বিএসএমএমইউতে এইডসে আক্রান্ত ৭৫ মা’র ৬৯ শিশু এইচআইভিমুক্ত এইডস সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের বক্তারা: ছবি-বাংলানিউজ

ঢাকা:  বাংলাদেশে সরকারী পর্যায়ে প্রথমবারের মতো ২০১৩ সালের ১৬  মে থেকে এইচআইভি আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের অবস এন্ড গাইনী বিভাগের মাধ্যমে সেবা শুরু করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)। এই পর্যন্ত মোট ৯১ জন গর্ভবতী মা এই সেবার অধীনে আছেন। 

২৯ হাজার ৮ শত ৯২ জন গর্ভবতী মায়েদের পরীক্ষায় ৯১ জনের এইচআইভি পজিটিভ পাওয়া যায়। ৭৫ জন এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মা সন্তান প্রসব করেছেন।

তাদের মধ্যে দেশে নতুন ৬৯ জন শিশুকে এইচআইভি সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ বা রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে। বাকি শিশুরা পরীক্ষার অপেক্ষায় আছে।  

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডা. মিল্টন হলে  একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের বক্তারা এসব কথা বলেন। এবারের দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘এইডস নির্মূলে প্রয়োজন জনগণের অংশগ্রহণ। ’  

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিএসএমএমইউতে এইডস সংক্রান্ত সেবার পরিধি বৃদ্ধি করেছে, যা স্ট্রেনদেনিং অফ পিএমটিসিটি সার্ভিসেস (Strengthening of PMTCT Services in Selected Public Hospitals of Dhaka Division, Bangladesh,  Bangabandhu Sheikh Mujib Medical University (BSMMU) নামে এই বছরে শুরু হয়েছে।  

বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সেবামূলক কার্যক্রমটি জাতীয় এইডস এবং এসটিডি (STD) প্রোগ্রাম ও ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিনামুল্যে এআরভি প্রদান ও সকল রোগের যথাযথ চিকিৎসা সেবার পথ উন্মুক্ত হয়েছে। তাছাড়া বিএসএমএমইউ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী এআরভি নিচ্ছেন। গত ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ১২৫৯ জন রোগী এআরভি নিয়েছেন। তাদের সকল পরীক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং এই সেবাও অব্যাহতভাবে চলছে।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। তিনি বলেন, এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মানুষকে রেপিড টেস্টের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এইচআইভিতে বা এইডসে আক্রান্তদের মুত্যুহার শূন্যের কোটায় নিতে আসতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশে এইচআইভিতে আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রথম ও প্রধান পোস্ট গ্রাজুয়েট বিশ্ববিদ্যালয় যেখান থেকে বিভিন্ন বিভাগের মাধ্যমে রোগীদের কম্প্রিহেনসিভ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হয়। ১৯৮৯ সালে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগে বাংলাদেশে প্রথম এইচআইভি সনাক্ত করা হয় এবং বর্তমানে তা অব্যাহত আছে। ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত সরকারী স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত গর্ভবতী মায়েদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা ছিল না।  

বিএসএমএমইউ’র পরিচালক (হাসপাতাল)  ব্রিগে. জেনারেল ডা. এ কে মাহবুবুল হকের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোজাফফর আহমেদ, অবস এন্ড গাইনী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. তৃপ্তি রাণী দাস, সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালেহা বেগম চৌধুরী, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, অধ্যাপক ডা. বেগম নাসরিন, ডা. মেরিনা আক্তার প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময় : ০৫০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
ইউবি/এমএএম 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।