ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

বিরল রোগে আক্রান্ত মাখন, অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
বিরল রোগে আক্রান্ত মাখন, অর্থাভাবে হচ্ছে না চিকিৎসা

মানিকগঞ্জ: এক বছর চার মাস বয়সেই মাখন হাসানের শরীরের ওজন ১৫ থেকে ২০ কেজি। বিরল রোগে আক্রান্ত এ শিশুটি মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নতুন পাড়া এলাকার আব্দুর রহমানের ছোট ছেলে।

শিশুটির পরিবার জানায়, মাখন হাসান জন্মের পর থেকে তেমন কোনো রোগাক্রান্ত মনে হয়নি। কিন্তু ছয় মাস বয়স থেকে তার ডান চোখের নিচে পানি জমাট বেধে থাকতো।

কিছুদিন পর চোখটা বাইরের দিকে বেরিয়ে আসে। তার ছয় মাস পর বাম চোখটাও বাইরে বেরিয়ে আসে।

মাখনের বাবা আব্দুর রহমান পেশায় পরিবহন শ্রমিক। মাখনের একটি বোন ও একটি ভাই রয়েছে। স্ত্রী নাছিমা ও সন্তানদের নিয়ে কোনোমতে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। টানাটানির সংসারে ছেলের চিকিৎসা খরচ চালাতে প্রতিনিয়ত হিমসিম খাচ্ছেন আব্দুর রহমান।  

মাখন হাসানের মা নাছিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আমার কলিজার টুকরা জন্মের সময় তার কোনো রোগ ছিল না। ছয়মাস পর থেকেই আস্তে আস্তে দুইডা চোখ বাইরের দিকে বের হইয়া আসে। শুধুমাত্র টাকার জন্য আমি আমার কলিজার টুকরারে চিকিৎসা করাইতে পারতেছিনা। দেশে তো কতো বড় লোক আছে, তারা যদি একটু সাহায্য করতো তবে আমার ছেলেডা সুস্থ হয়ে যাইতো।

স্থানীয়রা জানায়, সমাজের বিত্তশালীরা যদি শিশু মাখনের পাশে দাড়ায় তবে সে সুস্থ্য হয়ে উঠবে।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (চক্ষু) ডা. একেএম শরিফুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, মাখনের চোখের যে অবস্থা তা খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। যত দ্রুত সম্ভব তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
পিএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।