ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

মূত্র পাথরি চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
মূত্র পাথরি চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথি প্রতীকী ছবি

মূত্রগ্রন্থি বা কিডনির মধ্যে পাথরের টুকরো সৃষ্টি হলে তাকে বলে মূত্র পাথরি। এই পাথর কখনও মূত্র কোষ, কখনও মূত্রবাহী নালীতে আবার কখনও বা মূত্রথলীতে এসে জমা হয়। তারপর প্রস্রাবের সঙ্গে আর বের হতে পারে না বলে এই রোগের সৃষ্টি হয়।

এই পাথর কণা কিডনি, মূত্রনালী বা মূত্রথলীতে এসে প্রস্রাব অবরুদ্ধ করে ও অত্যন্ত যন্ত্রণা হয়। এই পাথর ছোট বড় নানা ধরনের হতে পারে।

সুস্থ অবস্থায় শরীরে পোষণের অনুপযোগী কোনো কোনো বাহ্য পদার্থ প্রস্রাবসহ নির্গত হয়ে থাকে। কিন্তু পরিপাক বা পরিপোষণ কার্যের কোনো গোলযোগ সৃষ্টি হলে নানাবিধ রোগ লক্ষণ দেখা দেয় এবং মূত্রে ত্রুটি দেখা যায়।

একটি পরিষ্কার শিশিতে মূত্র কিছুক্ষণ রাখলে যদি ইটের গুড়া বা বালুকার মতো তলানি পড়ে তাহলে বুঝতে হবে রোগীর মধ্যে ‘মূত্র পাথরি’ রোগ হয়েছে।

তখন অতি সূক্ষ্ম বালুকা কণা তুল্য বা সর্ষের পরিমাণ প্রস্তর কণা অথবা শিম বীজ পরিমাণ প্রস্তর খণ্ড সদৃশ ছোট মাঝারি বা বড় নানা আকারের পাথর মূত্রনালীতে বা মূত্রথলীতে জমা হতে থাকে। এটাকে মূত্র পাথরি বলে।  

বর্তমানে এই রোগটি ব্যাপকভাবে দেখা যাচ্ছে। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। সাধারণত নারীদের অপেক্ষা পুরুষদের এই রোগ বেশি হয়।

লক্ষণ:
বারবার প্রসাব হয়। প্রস্রাবের সময় ও পরে লিঙ্গ মুখে ব্যথা এবং যতক্ষণ পর্যন্ত পাথর অপসারণ করা না হয় ততদিন পর্যন্ত প্রস্রাবের বেগ হয়।

প্রসাবে জ্বালা-যন্ত্রণা, ঘন ঘন প্রস্রাব বেগ এবং প্রস্রাবের ধারা বার বার আটকে যায়।  

মূত্রে পুঁজ ও শ্লেস্মা মিশ্রিত থাকে এবং কখনও কখনও রক্ত পড়ে। মূত্রগ্রন্থি থেকে মূত্র ধারে পাথরি আসার সময় রোগীর কুঁচকি ও অণ্ডকোষ প্রভৃতি স্থানে অত্যন্ত যন্ত্রণা ও কষ্ট হয়।  

পাথর বের হয়ে গেলে যন্ত্রণা কমে যায়। কোনো প্রকার ভারী জিনিস তুলতে গেলে বা রাতে ঘুমের মধ্যে হঠাৎ ব্যথার উদ্রেক হয়। ব্যথা কোনো একদিকের কিডনির বা ইউরেটারের স্থানে ব্যথা শুরু হয়ে নিচে কুচকির দিকে কখনো পেটে বা বুকে প্রসারিত হয়।

কখনও কখনও আবার জ্বর থাকে এবং দেহের তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রি থেকে ১০৪ ডিগ্রি অথবা ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।

রোগ নির্ণয়
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে মূত্র পাথরি রোগ নির্ণয় অতি সহজ ও সঠিকভাবে নির্ণয় করা যায়। পেটের এক্স-রে করলে পাথর কোথায় আছে তা দেখা যায়। আর হোমিওপ্যাথি হলে রোগীর পুরো লক্ষণ নির্ণয় করে চিকিৎসা শুরু করলে- মূত্র পাথরি ভালো হয়ে যায়।  

লেখক:
ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন কনসালটেন্ট

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৮
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।