ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

কক্সবাজার সদর হাসপাতাল তালাবদ্ধ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
কক্সবাজার সদর হাসপাতাল তালাবদ্ধ হাসপাতালে তালা লাগানোয় ভিন্নপথে ভেতরে যাচ্ছেন রোগীর অভিভাবকরা-ছবি-বাংলানিউজ

কক্সবাজার: কক্সবাজার সদর হাসপাতাল তালাবদ্ধ করে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছে চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) বেলা ১২টায় দুই শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগে তারা রোগীদের অবরুদ্ধ করে রেখেছেন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও অভিভাবকরা। 

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের দাবি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে না। অন্যদিকে ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন, এ কেমন বিচার।

কে, কাকে মেরেছে তার জন্য চিকিৎসা সেবা বন্ধ করা উচিৎ হয়নি। এতে অনেক রোগী শঙ্কায় রয়েছেন।  

পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে রয়েছে পুলিশ। এদিকে হামলার ঘটনার ২ ঘণ্টা পর হাসান মাহমুদ (৩০) নামে এক রোগীকে থানায় আনা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। ওই রোগীকে কেন্দ্র করে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। হাসান মাহমুদ শহরের লাইট হাউস এলাকার ইসমাইলের ছেলে।

কক্সবাজার সদর হাসাপতাল তালাবদ্ধ-ছবি-বাংলানিউজরোগীর অভিভাবকদের হামলায় আহত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা হলেন, ডা. শেফায়েত হোসেন আরাফাত ও তাওহীদ ইবেনে আলাউদ্দিন। তারা দু’জন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষানবিশ চিকিৎসক। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন না থাকলেও কিল-ঘুষি মারা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।  

অভিযুক্তরা হলেন, রোগী হাসান মাহমুদের আত্মীয়-স্বজন। হামলাকারীদের মধ্যে সায়েম নামে এক যুবককে চিনতে পেরেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তিনটি গেটই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে বাইরে থেকে কেউ ভেতরে যেতে পারছেন না, আবার ভেতর থেকে কাউকে বেরও হতে দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় অনেক রোগী আটকা পড়েছেন। অনেক আহত ও জরুরি রোগীকেও দেখা গেছে।  

কক্সবাজার সদর হাসাপতাল তালাবদ্ধ-ছবি-বাংলানিউজআহত ডা. শেফায়েত হোসেন জানান, সকাল ১১টার দিকে হাসান মাহমুদ নামে এক রোগী মুখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। রোগীর চাপের মধ্যে তাকে চিকিৎসা দিতে দেরি হওয়ায় মারধর শুরু করে ৪-৫ জন যুবক। এরপর তারা রোগীকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পুচনু জানান, প্রায়ই চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনা ঘটছে। যারা সেবা প্রদান করবেন তাদেরকেই কারণে-অকারণে মারধর করা হচ্ছে। এটা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসদের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে।  

রোগীদের ভোগান্তির ব্যাপারে তিনি জানান, দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হবে। তবে তিনি নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি কখন সেবা প্রদান শুরু হবে।

এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, এ ঘটনায় একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়েছে। হামলাকারীদের আটকের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সয়: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০১৮
টিটি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।