ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

সুস্থ বাংলাদেশের লক্ষ্যে ‘কিডস রান’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
সুস্থ বাংলাদেশের লক্ষ্যে ‘কিডস রান’ কিডস রান ইভেন্টে অংশ নেওয়া শিশুরা/ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: শিশুদের ভার্চুয়াল জগতে আসক্তি রোধে ও শারীরিকভাবে শক্তিশালী করে তোলার লক্ষ্যে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ-স্বাস্থ্যবান হিসেবে গড়ে তুলতে ‘কিডস রান’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ‘দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান’ আয়োজিত শিশুদের জন্য প্রথম দৌড়ের ইভেন্টটি বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আই ব্লকের মাদানী অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হয়।  

সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান এবং আয়োজনের একমাত্র সহযোগী হিসেবে ছিল বসুন্ধরা ডায়াপ্যান্ট লিমিটেড।

১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য দৌড়ের এ ইভেন্টে ছিল তিনটি ক্যাটাগরি। ‘এ’ ক্যাটাগরি (৯-১২ বছর), ‘বি’ ক্যাটাগরি (৫-৮ বছর), এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা অংশ নিয়েছে। ক্যাটাগরি ‘এ’ ও ‘বি’ ২ কিলোমিটার এবং ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ১০০ মিটার দৌড়ে অংশ নেয় শিশুরা।
কিডস রান ইভেন্টে অংশ নেওয়া শিশুরা/ ছবি: শাকিল আহমেদ
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত শিশুদের অভিভাবকরা ইভেন্টটিতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী শিশুদের অণুপ্রেরণা দিতে তাদের বাবা-মাকেও সঙ্গে সঙ্গে দৌড়াতে দেখা যায়।

বারিধারা থেকে আগত অভিভাবক মারিয়াম হক মৌসুমী বাংলামিউজকে বলেন, এই যান্ত্রিক শহরে আমরা চাকরি করে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের দিকে তেমন একটা নজর দিতে পারছি না। আমরা অনেকটা রোবটিক হয়ে যাচ্ছি। তাই আমাদের বাচ্চারা ভার্চুয়াল জগতে বেশি আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাই এরকম আয়োজন দেখলেই রেজিস্ট্রেশন করি।

মারিয়াম হকের ভাতিজা আরাফ বলে, ২ কিলোমিটার দৌড়াতে অনেক কষ্ট হয়েছে। তবে শেষ করে অনেক আনন্দ পেয়েছি। ভাইয়ারা আমার সঙ্গে দৌড়িয়েছেন আর পানি দিয়েছেন। আমি পেরেছি কারণ প্রতিদিন সকালে আমি আমার বাবা-মার সঙ্গে দৌড়াই।

ইভেন্টটির আয়োজক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য গ্রেট বাংলাদেশ রান’র মুখপাত্র সামসুজ্জামান আরাফাত বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া দৌড়িয়েছেন।  

সুস্থ থাকার লক্ষ্যে দৌড়ের বিকল্প নেই উল্লেখ করে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, আমাদের বাচ্চারা স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা নিয়ে অবগত না। কারণ সবাই আমরা কম্পিউটার, ট্যাব, অ্যান্ড্রয়েড নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমাদের বাচ্চারাও তাই শিখছে। যদি এভাবে চলতে থাকে আগামীতে আমাদের সুস্থ বাংলাদেশের স্বপ্নটা বিলীন হয়ে যাবে।  

সামসুজ্জামান আরাফাত আরো বলেন, আমারা চেষ্টা করছি প্রতিমাসেই এরকম আয়োজন রাখার জন্য। বড় হয়ে ডায়বেটিস বা অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে ডাক্তার যখন বলবে ব্যায়াম করতে হবে বা হাঁটতে হবে তার আগেই আসলে আমরা হাঁটতে চাই। তাহলেই সুস্থ জাতি গঠনে আমরা সুন্দর ভূমিকা রেখে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে পারবো।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১৮
এমএএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।