ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

নিজেই ‘অসুস্থ’ মাটিরাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
নিজেই ‘অসুস্থ’ মাটিরাঙ্গা উপজেলা হাসপাতাল! মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে কেবল নেই আর নেই। ছবি: বাংলানিউজ

খাগড়াছড়ি: পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ও ওষুধের সংকটে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন না স্থানীয়রা। সমস্যা-সংকটে হাসপাতালটি নিজেই যেন ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য রোগী ও স্বজনদের।

জেলার জনবহুল উপজেলাটিতে দেড় লক্ষাধিক লোকের বসবাস। তাদের চিকিৎসায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি উপজেলার একমাত্র হাসপাতাল।

প্রতিদিন তাই রোগীর চাপ লেগেই থাকে। অথচ সে তুলনায় চিকিৎসক, ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই।

সরেজমিনে জানা গেছে, ১৯টি পদের মধ্যে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৫ জন। তাদের মধ্যেও আবার একজন ছুটিতে ও একজন ট্রেনিংয়ে আছেন। মেডিসিন, শিশু, গাইনি, আবাসিক চিকিৎসকসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে জনবলের সংকটও। প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনসহ নানা কাজে প্রায়ই হাসপাতালের বাইরে থাকতে হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে।

ওষুধসহ সব ধরনের স্বাস্থ্য সেো না পাওয়ার অভিযোগ রোগীদের।  ছবি: বাংলানিউজরোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, অধিকাংশ সময় হাসপাতালটি ডাক্তারশূন্য থাকে। রোগী দেখেন কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা। চাপ সামলাতে গিয়ে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে ওঠেন তারা। পাওয়া যায় না প্যাথলজি, এক্স-রে ও অন্য সরকারি সেবাসহ ডাক্তারের দেওয়া ব্যবস্থাপত্রের বেশিরভাগ ওষুধও।

সরকারিভাবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও শুধু অতি সুলভ মূল্যের হিস্টাসিন, প্যারাসিটামল, স্যালাইনসহ ৩/৪ ধরনের ওষুধই পান বলেও দাবি করেছেন রোগীরা।

রোগী রোজিয়া আক্তার ও আফরোজা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, ‘চিকিৎসা বলতে ডাক্তার দেখাতে পারাটাই। আর একটু বড় সমস্যা দেখা দিলেই ডাক্তার খাগড়াছড়িতে যেতে বলেন। হাসপাতাল থেকে ওষুধ পাওয়া যায় না, বাইরে থেকে কিনতে হয়’।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. খায়রুল আলম বলেন, প্রতিদিন কমপক্ষে ২০০ জন রোগী বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নেন। গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকায় হাতেগোনা কয়েকজন চিকিৎসককে রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের ভেতরের রাস্তাটি গত কয়েক বছর ধরে ভাঙা থাকায় রোগীদের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে বলেও জানান তিনি।

তবে ওষুধের কোনো সংকট নেই বলে দাবি ডা. খায়রুলের।

রোগী সামলাতে হিমশিম খান স্বল্প সংখ্যক চিকিৎসকরা।  ছবি: বাংলানিউজসমস্যা-সংকটের কথা স্বীকার করে সেগুলোর সমাধানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছেন বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. শওকত হোসেন। তিনি বলেন, চিকিৎসক সংকটের বিষয়টি লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।