জুম্মা ও তারাবির নামাজের সময় পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য জনগণকে সচেতন করতে ইমামদের প্রতি বিশেষ বয়ান দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, চিকনগুনিয়ার বিস্তার প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে কার্যক্রম গ্রহণে জনপ্রতিনিধদের ভূমিকা রাখতে হবে।
বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সচিবালয়ে চিকুনগুনিয়া বিস্তার প্রতিরোধ সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্বকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সভায় সম্প্রতি সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে ঢাকা শহরের ২৩ টি এলাকাকে চিকনগুনিয়ার জন্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, রাজধানীর এ ২৩ টি এলাকায় চিকনগুনিয়ার বাহক মশার ঘনত্ব বেশি।
ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করতে নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, বাড়িঘরের মধ্যে অনেক সময়ে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার ফলে সেখানে এডিস মশার উৎপত্তি হতে পারে। তাই, বাড়ির ভিতরে, বাড়ির ছাদে যেন পানি জমে না থাকে সে দিকে জনগণকে খেয়াল রাখাতে হবে।
প্রয়োজনে বাড়ির ভিতর গিয়ে মশা নিধন কর্মসূচি চালাতে সিটি করপোরেশনের লোকদের সহযোগিতা করার জন্য বাড়ির মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। নিধন কর্মসূচিকে বেগবান করতে এনজিও, স্কাউটদের সহায়তা নেওয়ারও পরামর্শ দেন মন্ত্রী।
চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে আতঙ্ক না ছড়িয়ে গণসচেতনতা কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী বলেন, চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাগের কোনো আশঙ্কা নেই। সরকার এক্ষেত্রে বরাবরের মতোই প্রস্তুত। যার যার আশেপাশের পরিবেশ পরিষ্কার রাখার সচেতনতাই এ রোগকে প্রতিহত করতে পারে।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৭
এমএন/ওএইচ/