শান্তির ঘুম নষ্ট করে দিতে যার জুড়ি নেই তার নাম দুঃস্বপ্ন। কখনো কখনো ঘুমের ভেতর হানা দিয়ে সাধের ঘুমটার বারোটা বাজিয়ে দেয় সে।
কেন দেখি দুঃস্বপ্ন? কীভাবেই বা রেহাই পাওয়া যাবে এ থেকে? চলুন জেনে নিই।
দুঃস্বপ্নের কারণ
মূলত ভীতি, মানসিক অস্থিরতা বা চাপ, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা প্রভৃতি কারণে মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখে। প্রিয়জনের মৃত্যু বা এ ধরনের কোনো ঘটনার পরও অনেকে দুঃস্বপ্ন দেখে। কয়েক রাত নির্ঘুম কাটালেও ঘুম নষ্ট করতে পারে দুঃস্বপ্ন। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগের কারণেও এমনটি হয়।
প্রতিকার
দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রথমেই এর কারণটি খুঁজে বের করতে হবে। মানসিক স্থিরতা এটি কাটাতে সহযোগিতা করে। দুঃস্বপ্নের হাত থেকে রেহাই পেতে দুশ্চিন্তা কমানো ও শৃঙ্খল জীবনযাপন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাতে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়ুন, দেরি করে ঘুমাতে যাবেন না। যোগব্যায়াম দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মানসিক চাপ, অস্থিরতা, দুশ্চিন্তা, বিষণ্ণতা কাটিয়ে উঠুন। অস্থির মন নিয়ে ঘুমাতে যাবেন না, শান্ত মনে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে যান।
অতিরিক্ত দুঃস্বপ্ন
মাঝেমধ্যে দুঃস্বপ্ন দেখা স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকেই আছেন যারা প্রায়ই দুঃস্বপ্ন দেখেন। কেউ কেউ ঘুমালেই হানা দেয় দুঃস্বপ্ন। দুঃস্বপ্নের ভয়ে অনেকেই ঘুমাতেই ভয় পান। কেউ যদি এরকম সমস্যায় ভোগেন এবং এর পেছনে উপরের কোনো কারণ (চাপ, বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা ইত্যাদি) না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে তার কোনো মানসিক সমস্যা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
ঘুমের দুটো পর্যায় রয়েছে, ৠাপিড আই মুভমেন্ট ও নন-ৠাপিড আই মুভমেন্ট। আমরা স্বপ্ন দেখি যখন ৠাপিড আই মুভমেন্ট (রেম) হয়। ঘুমের এই পর্যায় সাধারণত শুরু হয় ঘুমিয়ে পড়ার ৯০ মিনিট পর। তাই রেম হওয়ার আগে ঘুমানোর পর প্রতি এক থেকে দেড় ঘণ্টা পর পর একবার করে জেগে উঠুন। এক্ষেত্রে জেগে ওঠার জন্য কাউকে ডাকতে না বলে ঘড়িতে অ্যালার্মও দিয়ে রাখতে পারেন।
তবে অতিরিক্ত দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা থাকলে অবশ্যই বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিন এবং একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৫