ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৬

স্বাস্থ্য

চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে হচ্ছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৪
চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে হচ্ছে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরো দুইটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় করার কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (২২ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত আউটডোর কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।



প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মানুষকে ভালোভাবে উন্নত সেবা দিতে চাইলে মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে আরো দু’টি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ইতোমধ্যে সে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ডিভিশনের মেডিকেল কলেজ স্থাপনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন এলাকায় আমাদের সেনাবাহিনীর ডিভিশন আছে, সেখানে হাসপাতাল আছে। তাদেরকে আমি নির্দেশ দিয়েছি, যেখানে ৫০০ বেডের ওপর হাসপাতাল আছে সেখানে তারা মেডিকেল কলেজ তৈরি করতে পারবে।

মেডিকেল কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড (অধিভূক্ত), তেমনি আমাদের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে অ্যাফিলিয়েটেড হতে হবে। এছাড়া বিভিন্ন বিভাগীয় যেসব বিশ্ববিদ্যালয় হবে সেগুলোর সঙ্গে এগুলো অ্যাফিলিয়েটেড থাকতে হবে। যেন তাদের ডিগ্রিগুলো উচ্চমানের হয়। এ বিষয়ে যথাযথ উদ্যোগ আপনাদের পক্ষ থেকে আমরা চাচ্ছি।

কমলাপুর রেল হাসপাতালকে জেনারেল হাসপাতালে পরিণত করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

ঢাকাকে উত্তর ও দক্ষিণ দুইটি জোনে ভাগ করে হাসপাতাল নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ডাক্তারদের রোগীদের সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করাটা বেশি দরকার। একজন ডাক্তার যতোই ওষুধ খাওয়ান, তার চেয়ে রোগী বেশি ভালো হয় একটু আলাপ করলে, কথা বললে, তাদের বুঝিয়ে দিলে। ব্যবহারের ওপর রোগী অনেক ভরসা পান। রোগীর মানসিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে তার আরোগ্য লাভেও সুবিধা হয়।

ভবিষ্যৎ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী জাতি গড়তে সরকার কাজ করে যাচ্ছে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবাসহ মানুষের মৌলিক অধিকারগুলো নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সরকার পরিকল্পিতভাবে মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছে। এর ধারাবাহিকতায় গবেষণার ওপর জোর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।

হাসপাতালগুলোতে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ও মানুষের সেবা নিশ্চিত করতে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আধুনিকায়ন এবং সেবিকাদের মর্যাদা বৃদ্ধিসহ তাদের প্রশিক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

চিকিৎসক নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ৮ হাজার ৮৫৭ জন সহকারী সার্জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এডহক ভিত্তিতে ৪ হাজার ১৩৩ জন সহকারী সার্জন নিয়োগ করা হয়েছে। অতীতে এতো নিয়োগ কেউ দেয়নি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক, স্বাস্থ্যসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি সরকারের আমলে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে মানুষকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করার চিন্তাটা ছিলো অত্যন্ত নিষ্ঠুর।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক মহকুমায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি পদক্ষেপও নিয়েছিলেন। আমরা সে চিন্তা থেকে মানুষের জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করি।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কমিউনিটি ক্লিনিকের বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক কনসেপ্ট একদিন সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়বে।

বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পেপারলেস ম্যানেজমেন্টের দিকে যাচ্ছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।

তিনি বলেন, সকল তথ্য ডিজিটালাইজড করে ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। যেন মানুষ আরো সহজে সেবা পেতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।