ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

অপরিণত নবজাতকদের চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেবে ঢামেক হাসপাতাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪
অপরিণত নবজাতকদের চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেবে ঢামেক হাসপাতাল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো অপরিণত নবজাতকদের চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে অরবিস ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির কারিগরি ও ঢাকার ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এ চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।



পর্যায়ক্রমে নবজাতক পরিচর্যাকেন্দ্র সম্বলিত ঢাকার অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে অপরিণত নবজাতক শিশুদের চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ।

এ লক্ষ্যে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হলরুমে ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের উপদেষ্টা জাহিদা ইস্পাহানী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা অপরিণত নবজাতক দরিদ্র শিশুরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান অপরিণত বয়সে জন্মলাভ করা শিশুদের সঠিক সময়ে চিহ্নিত করে অন্ধত্ব রোধে দেশে প্রথমবারের মতো কাজ শুরু করায় অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এটি একটি যুগান্তকারী উদ্যোগ। আমাদের দেশের দরিদ্র শিশুদের অন্ধত্ব দূরীকরণে এ উদ্যোগ সফলতার সঙ্গে অবদান রাখবে। এ ধরনের রোগ প্রতিরোধে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মোঃ শাফিকুল আলম চৌধুরী,  প্রফেসর ডা. মোঃ ইসমাইল খান, প্রফেসর ডা. মাকসুদুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. এম এখলাসুর রহমান, ডা. মোঃ তোফাজ্জল হোসেন খান, ইস্পাহানী ইসলামিয়া চক্ষু ইনস্টিটিউট অ্যান্ড হাসপাতালের সিইও ডা. মাইকেল চর্লেস, পরিচালক ডা. আলমগীর হোসেন, ডা. নাজমুন নাহার, অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর মোঃ আলাউদ্দিন, ডা. নুরুল্লাহ, প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. ফায়জুল ইসলাম প্রমূখ।

অরবিস ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ জানান, বর্তমান বিশ্বে এক কোটি ৯০ লাখ শিশু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী। তার মধ্যে ১৪ লাখ শিশু অন্ধ। তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ শিশু ৫ বছর পূর্ণ হবার আগেই মৃত্যুবরণ করে। বিশ্বে প্রতি মিনিটে একজন শিশু অন্ধত্ব বরণ করছে।

বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নবজাতক শিশুর জন্ম হয়। তাদের মধ্যে প্রায় ২৫ হাজার শিশুর ওজন ১.৫ কেজি বা তার চেয়ে কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মগ্রহণকারী অপরিণত নবজাতকরা সাধারণত রেটিনোপ্যাথি অফ প্রিম্যাচুরিটি রোগে ভোগে। জন্মের ৩০ দিনের মধ্যে চিকিৎসা না হলে এ ধরনের অপরিণত নবজাতক ৬ মাস বয়সের আগেই অন্ধ হয়ে যেতে পারে।        

এ ধরনের অপরিণত নবজাতকদের চিহ্নিত করে দেশে প্রথমবারের মতো চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান ডা. মুনির আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।