ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

‘অ্যান্টিবায়েটিকের ব্যবহার সর্ম্পকে সচেতন থাকতে হবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪০ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৩

ঢাকা: অ্যান্টিবায়েটিকের ব্যবহার সর্ম্পকে সচেতন হলে কিডনি রোগ অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।


 
এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘জীবনের জন্য কিডনি, আকস্মিক কিডনি বিকল রোধ করুন’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হচ্ছে।
 
গোলটেবিল বৈঠকে কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘‘অ্যান্টিবায়েটিকের ব্যবহার সর্ম্পকে সচেতন থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও কিডনি রোগীদের অ্যান্টিবায়েটিক প্রদানের ক্ষেত্রেও চিকিৎসকদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ’’
 
তিনি বলেন, ‘‘কিডনি রোগ একটি সাধারণ রোগ। এ রোগে ভীতির কোনো কারণ নেই। এ ভীতি তৈরি করেছি আমরাই। এ ভীতি সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। ’’
 
তিনি বলেন, ‘‘এটি একটি রোগ নয়। অনেকগুলো রোগের সমন্বয়ে এ রোগ। যে কিডনি রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, সেটিকে বলা হচ্ছে তাৎক্ষণিক কিডনি রোগ। কিডনির প্রধান রোগগুলোর মধ্যে রয়েছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির মেমব্রেনের ফিল্টারিং। ’’
 
ডা. হারুন বলেন, ‘‘আমরা বলি, দেশের ২ কোটি লোক কোনো না কোনো ধরনের কিডনি রোগে আক্রান্ত। এ তথ্যটি পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ, তারা সকলেই সরাসরি কিডনি রোগে আক্রান্ত নয়। ’’
 
‘‘প্রাথমিক অবস্থায় যদি কিডনি রোগ ধরা পড়ে, তাহলে সহজেই নিরাময় সম্ভব। সমস্যা হচ্ছে, অনেকের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলেও কখনোই কিডনি পরীক্ষা করেন না। অথচ প্রথম অবস্থায় ধরা পড়লেই এ রকম হয় না। ’’
 
‘‘প্রথম অবস্থায় কিডনি রোগ চিহ্নিত করতে পারলে প্রাইমারি প্রিভেনশনের মাধ্যমে সারিয়ে তোলা সম্ভব। তবে সেকেন্ডারি প্রিভেনশন এ পৌঁছালে ডায়ালাইসিসের প্রয়োজন হয়। ’’
ল্যাব এইড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এম এ শামীম বলেন, ‘‘এক সময় কার্ডিয়াক ডিজিজে অনেক লোক মারা যেতেন। এখন আর হচ্ছে না। নন কমিউনিক্যাল ডিজিজ এটি। শিক্ষক, শিল্পী, চিকিৎসকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষের অংশগ্রহণে এ রোগটিকে প্রতিহত করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেয়া যাবে, ততোই ক্ষতি কমবে এবং মানুষের খরচও কমবে। ’’
 
দৈনিক ইত্তেফাকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত বলেন, ‘‘মানুষের কাছে কিডনি রোগের তথ্যগুলো পৌঁছে দিতে হবে। ’’
 
বৈঠকে আরো বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নেফ্রোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. রফিকুল আলম, ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এমএ সামাদ, অভিনেতা আফজাল হোসেন, সঙ্গীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী প্রমুখ।
 
এছাড়াও বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন দিবসটি উপলক্ষে কিডনি রোগ সম্পর্কে গণসচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে।
 
বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশন, কিডনি ফাউন্ডেশন, সোসাইটি অব অর্গান ট্রান্সপ্ল্যান্ট বাংলাদেশ এবং ক্যাম্পস যৌথভাবে সকালে শাহবাগ মোড় থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সকাল নয়টায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘন্টা, মার্চ ১৪, ২০১৩
এমএন/ সম্পাদনা: অশোকেশ রায়, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর- [email protected];জুয়েল মাজহার, কনসালট্যান্ট এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।