ঢাকা: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) পাঁচ বছর মেয়াদি বিএসসি ইন ফিজিওথেরাপি কোর্সের শিক্ষার্থীরা বৈষম্য দূর করার দাবিতে পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে ) সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (বাপসু) আহ্বানে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বাপসুর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, গত ৩১ আগস্ট শিক্ষার্থীরা পাঁচটি দাবি নিয়ে আন্দোলন করেন-
১. পর্যাপ্ত শিক্ষক সংকট নিরসনের জন্য দ্রুত শূন্য পদে নিয়োগ বাস্তবায়ন।
২. ফিজিওথেরাপি বিভাগের (ক্লিনিকাল পোস্টের) শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
৩. জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে ফিজিওথেরাপি বিষয়ের ওপর স্নাতকোত্তর কোর্স মাস্টার্স ইন ফিজিওথেরাপি দ্রুত চালু করা।
৪. ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টদের ইন্টার্ন ভাতা নিশ্চিত করা।
৫. পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, ফিজিওথেরাপি ল্যাব, ছেলেমেয়েদের পৃথক কমনরুসের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
তখন নিটোর প্রশাসন থেকে এগুলো দ্রুত সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়। এজন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ীও দাবিগুলো ন্যায্য এবং বাস্তবায়নের পক্ষে মতামত দেওয়া হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীদের এসব দাপ্তরিক কাজ করার কথা নয়। ফিজিওথেরাপি কোর্স যেহেতু নিটোর প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে, তাই কোর্স সংশ্লিষ্ট সব দায়িত্ব কর্তব্যও নিটর প্রশাসনেরই হবে। এগুলো শিক্ষার্থীদের করার কথা না।
বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের (বাপসু) আহ্বায়ক আশিকুর রহমান বলেন, বিশেষ করে ইন্টার্ন ভাতা পাওয়া ইন্টার্ন ফিজিওথেরাপিস্টদের ন্যায্য অধিকার। তা নিয়ে নিটোর প্রশাসন দায়িত্ব এড়িয়ে শিক্ষার্থীদের বছরের পর বছর এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে পাঠিয়ে কেবল সময় নষ্ট করছে।
এর আগে সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত পরিচালকের কক্ষের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে বলেও জানান আন্দোলনকারীরা।
আরকেআর/এসআই