ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

৭০ শতাংশ মৃত্যু রোধে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
৭০ শতাংশ মৃত্যু রোধে অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি

ঢাকা: অসংক্রামক রোগে ৭০ শতাংশ মৃত্যু প্রতিরোধে, জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করেছেন বক্তারা।    

সোমবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর বিএমএ ভবনে ‘অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় বাজেট বরাদ্দ: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক এক সাংবাদিক কর্মশালায় এই দাবি জানানো হয়।

গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের (জিএইচএআই) সহযোগিতায় প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এই কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালা থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে অসংক্রামক রোগে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকলেও তা মোকাবিলায় জাতীয় বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ খুবই অপর্যাপ্ত। আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে এখাতে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে অসংক্রামক রোগের ক্রমবর্ধমান প্রকোপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশে মৃত্যুর প্রধান কারণগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যানসার, কিডনি রোগ, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগ, যা মোট মৃত্যুর ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী। তবে এসব রোগ মোকাবিলায় অর্থ বরাদ্দের পরিমাণ খুবই সামান্য, যা মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র চার দশমিক দুই শতাংশ।

কর্মশালায় স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. এনামুল হক বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দের সুপারিশ করে। বাস্তবিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বাংলাদেশ সরকারের সর্বশেষ স্ট্র্যাটেজিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী তা সাত শতাংশ করার সুপারিশ করা হলেও বিগত বছরগুলোয় স্বাস্থ্য বাজেট পাঁচ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে। অসংক্রামক রোগ মোকাবিলায় এখাতে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না। পাশাপাশি বরাদ্দ করা অর্থ খরচের ক্ষেত্রে দক্ষতাও বাড়াতে হবে।

জিএইচএআই বাংলাদেশ কান্ট্রি লিড মুহাম্মাদ রূহুল কুদ্দুস বলেন, প্রয়োজনীয় অর্থায়নের মাধ্যমে কেবল কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে উচ্চ রক্তচাপের ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের মতো ভয়াবহ অসংক্রামক রোগ অনেকাংশেই কমিয়ে আনাসহ অসংখ্য জীবন বাঁচানো সম্ভব।

কর্মশালায় আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জুলহাস আলম, আত্মার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন ও কো-কনভেনর মিজান চৌধুরী এবং প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের।

কর্মশালায় মূল উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রজ্ঞার হাইপারটেনশন কন্ট্রোল বিষয়ক প্রোগ্রামের সমন্বয়ক সাদিয়া গালিবা প্রভা।

সাংবাদিক কর্মশালায় প্রিন্ট, টেলিভিশন এবং অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত ২৮ জন সাংবাদিক অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৪
আরকেআর/এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।