ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

স্বাস্থ্য

চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
চিকিৎসক ও রোগীদের সুরক্ষার দায়িত্ব আমার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয় দেখার প্রথম দায়িত্ব হচ্ছে আমার, পাশাপাশি রোগীদের সুরক্ষার বিষয়টিও দেখতে হবে। তাদের সুরক্ষা নিয়েও কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, দুই-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনার দায় সারা বাংলাদেশের চিকিৎসকদের ওপর পড়তে পারে না। এখন বাংলাদেশে চিকিৎসার মান অনেক উন্নত। আমাদের চিকিৎসকদের কাছে বিদেশ থেকে রোগী এসে চিকিৎসা নিচ্ছে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভুটানের এক রোগীকে সফলভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ডা. মিলন অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন নর্থ আমেরিকা আয়োজিত ইকুইপমেন্ট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের সুরক্ষার বিষয়টি বক্তারা তুলে ধরায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি জানি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা অনেক কষ্ট করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। আমি একবার প্রধানমন্ত্রীকে বলেছিলাম যে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা অনেক কষ্ট করে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। তাদের তো নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত। রোগীদের সংখ্যা জরুরি বিভাগে মাঝে মাঝে এতটাই বেড়ে যায় যে, তাদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়। অনেক কষ্ট করে তাদের চিকিৎসা নিতে হয়।

মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি গ্রাম থেকে উঠে এসেছি, আমি চিকিৎসকদের সব কিছুই জানি, তারা কত কষ্ট করে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। তোমরা এক সময় ডাক্তার হবে, ডাক্তারি পেশা এমন একটা জিনিস, যার ওপর আল্লার আশীর্বাদ আছে। ডাক্তার হতে সবাই পারে না। ডাক্তার হতে গেলে আশীর্বাদ লাগে, সেই আশীর্বাদ নিয়ে তোমরা ডাক্তার হতে এসেছ। তোমরা মানুষের সেবা দিয়ে যাও, একদিন দেখবা অনেক বড় হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমিও তোমাদের মতো একজন ছিলাম। পেছনের সিটে বসে হাততালি দিয়েছি, স্লোগান দিয়েছি। আমি যদি পেছনের সিট থেকে আজকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হতে পারি, তোমরা একদিন প্রধানমন্ত্রী হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, হঠাৎ একটি টেলিফোন আমার জীবনকে পরিবর্তন করে দিয়েছে। আমি হাসপাতালে যেতাম রোগী দেখতাম। আবার বাসায় ফিরে টিভিতে নাটক দেখতাম। ওই টেলিফোনে আমি প্রথম মন্ত্রী হবার সংবাদ পেলাম। আমি আবারও বলছি, আমি আগে যেমন ছিলাম এখনও সেরকমই আছি। আমি সাধারণ মানুষ হিসেবেই আপনাদের মাঝে আছি, থাকব। আমার দরজা সবার জন্যই সব সময় খোলা।

আয়োজকদের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল অধ্যাপক ডা. দেবেশ চন্দ্র তালুকদার, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার  জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানসহ হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৪
এজেডএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।