বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুই মেরুর দল চিলি ও আর্জেন্টিনার লড়াইয়ে পার্থক্যটা মাঠে খুব একটা ধরা পড়ল না। তবে ম্যাচের ফলাফল বলছে ভিন্ন কথা।
চিলির মাঠে শুক্রবার সকালবেলা শুরু হওয়া ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও খুব বেশি দাপট দেখাতে পারেনি আর্জেন্টিনা। শুরুতে আলেক্সিস সানচেসের জোরালো শট ফিরিয়ে দেন এমিলিয়ানো মার্তিনেস। এরপর সুযোগ আসে হুলিয়ান আলভারেসের সামনে। থিয়াগো আলমাদার রক্ষণচেরা পাস থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে নিখুঁত শটে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন এই তরুণ ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া হয় জুলিয়ানো সিমেওনে ও আলমাদার। বিরতির পর চিলি আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে। একাধিকবার তারা আর্জেন্টিনার গোলমুখে হানা দেয়, তবে প্রত্যেকবারই সামনে এসে দাঁড়ান মার্তিনেস। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন লিওনেল মেসি। চোট কাটিয়ে ফেরা অধিনায়ক কিছু দারুণ পাস আর ফ্রি-কিক দিয়ে সুযোগ তৈরি করলেও তা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ডরা।
ম্যাচের শেষদিকে সিমেওনে সহজ একটি সুযোগ হাতছাড়া করলে ব্যবধান বাড়েনি। তবে একটি গোলই যথেষ্ট ছিল তিন পয়েন্টের জন্য। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়া খেলেও জয়রথ অব্যাহত রাখল আর্জেন্টিনা।
অন্যদিকে, একুয়েডরের মাঠে নামার আগে আশা ছিল আনচেলত্তির ছোঁয়ায় জেগে উঠবে ব্রাজিল। কিন্তু বাস্তবে তার দল দেখাল পুরোনো রূপই। বল দখল, আক্রমণ এবং গতির দিক থেকে পুরো ম্যাচজুড়েই পিছিয়ে ছিল তারা। ম্যাচের শুরুতে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের একটি শট প্রতিহত করেন একুয়েডর গোলরক্ষক গানসালো ভাইয়ে। এরপর কিছুটা সময়ের জন্য দাপট দেখালেও তাতে গোলের দেখা পায়নি তারা।
ব্রাজিল গোলরক্ষক আলিসন বেকারকে বেশ কয়েকবার প্রতিরোধ গড়তে হয়। ইবোয়াহ ও এস্তুপিনানের শট ঠেকিয়ে দলকে বাঁচিয়ে রাখেন তিনি। তবে মাঝমাঠের সমন্বয়হীনতা এবং আক্রমণে ধারহীনতা স্পষ্ট ছিল ব্রাজিলের খেলায়। একুয়েডরের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রই হয়ে থাকল আনচেলত্তির প্রথম ম্যাচের ফল।
চিলির হার এই পর্বে তাদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ করে দিল। অন্যদিকে, আর্জেন্টিনা রইল শীর্ষেই। সমান ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে একুয়েডর ও প্যারাগুয়ে। ব্রাজিল চারে, উরুগুয়ে এক ধাপ নেমে এখন পাঁচে।
আরইউ