ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

ফুটবল

ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন মেসি

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩
ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছেন মেসি

লিওনেল মেসি পিএসজির ছাড়ার ঘোষণা দেওয়ার পর মার্কিন ক্লাব ইন্টার মায়ামির নাম খুব কমই উচ্চারিত হয়। আলোচনা বেশি হচ্ছিল সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ও সাবেক ক্লাব বার্সেলোনাকে নিয়ে।

রেজিস্ট্রেশন জটিলতা থাকায় বার্সা ফেরার ভরসা পাচ্ছিলেন না মেসি। যদিও তার বাবা হোর্হে মেসি কিছুদিন আগেই বলেন, বার্সায় ফিরতে মুখিয়ে আছেন তিনি। অন্যদিকে মোটা অঙ্কের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছিল আল হিলাল। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আগামী মৌসুমে ইন্টার মায়ামির হয়ে খেলবেন মেসি। আর্জেন্টাইন এই ফুটবলার নিজেই তা নিশ্চিত করেছেন।

মেসি বলেন, 'আমি বার্সায় ফিরছি না, ইন্টার মায়ামিতে যাচ্ছি। ' 

ক্যারিয়ারের ক্রান্তিলগ্নে এসে অনেক ফুটবলারই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে নাম লেখিয়েছেন। কিন্তু বর্তমানে ফুটবলের নতুন ভূমি হয়ে দাঁড়িয়েছে সৌদি আরব। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পর এবার করিম বেনজেমাও যোগ দিয়েছেন দেশটির ফুটবলে। মেসি যোগ দিলে সেই লিগের আগ্রহটা যে আরও বেড়ে যেত, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু আল হিলালের দেওয়া বছরে প্রায় ৫০ কোটি ইউরো পারিশ্রমিকের প্রস্তাব মন গলাতে পারেনি মেসির।  

গত সপ্তাহে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম 'স্পোর্ত' এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড বেকহ্যামের সহ-মালিকানাধীন ক্লাব ইন্টার মায়ামি মেসিকে চার মৌসুমের জন্য ২০০ মিলিয়ন ইউরোর প্রস্তাব দিয়েছিল। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবটিতে গেলে প্রতি মৌসুমে ৫০ মিলিয়ন ইউরো (৫৪ মিলিয়ন ডলার) পাবেন মেসি।  

'দ্য অ্যাথলেটিক' দাবি করেছে, মার্কিন মুলুকের ক্লাবটি নাকি মেসিকে বেতনের পাশাপাশি ক্লাবের আয়ের একটা অংশও দিতে চায়। মার্কিন স্ট্রিমিং জায়ান্ট অ্যাপল প্লাসও নাকি মেসিকে নিয়ে ডকুসিরিজ নির্মাণে আগ্রহী।   ইন্টার মায়ামিতে গেলে অ্যাডিডাস মেসির সঙ্গে লভ্যাংশ ভাগাভাগির প্রস্তাব দেবে। যদিও বিশ্ববিখ্যাত ক্রীড়া সামগ্রী প্রস্তুতকারী জার্মান প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ২০০৬ সাল থেকেই যুক্ত মেসি। তাদের সঙ্গে ২০১৭ সালে আজীবন মেয়াদী একটি চুক্তিতে স্বাক্ষরও করেন তিনি।

যদিও মেসির জন্য বার্সার দরজা খোলাই ছিল। খোদ বার্সা প্রেসিডেন্ট ও ক্লাবের কোচ জাভি হার্নান্দেজ অনেকবারই বলেছেন মেসিকে ফেরানোর কথা। কিন্তু ক্লাবের আর্থিক সমস্যার সমাধান হয়নি। যে কারণে লা লিগার কাছে বিশেষ অনুমোদন চেয়েছিল বার্সা। শোনা যাচ্ছে, লা লিগা অনুমতি দিয়েও দিয়েছিল। কিন্তু দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক কোনো আলোচনা হয়নি। তাই মেসি আর ভরসা পাননি। মেসি নিজেও সে কথা স্বীকার করে বলেন, 'আমি সত্যিই ফিরতে চেয়েছিলাম, এনিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলাম খুব। কিন্তু অন্যদিকে চলে যাওয়ার সময় যেই অভিজ্ঞতা হয়েছিল, সেটা অনুভব করার পর সেই একই পরিস্থিতিতে আর পড়তে চাইনি। আমি আমার ভবিষ্যৎ অন্য কারও হাতে ছেড়ে দিতে চাইনি। '

দুই মৌসুম আগেই আর্থিক দুরবস্থার কারণে ক্লাবের সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়কে ধরে রাখতে অপারগতা প্রকাশ করে বার্সা। ফলে চুক্তি নবায়নের আশায় ছুটি থেকে ফিরে কাঁদতে কাঁদতে ক্যাম্প ন্যু ছেড়ে পিএসজিতে গিয়েছিলেন মেসি। কিন্তু সেখানে গিয়ে খাপ খাওয়াতে পারেননি তিনি। প্যারিসিয়ানদের চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় দুইবারই।  আর বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর মেসির প্রতি পিএসজি সমর্থকদের আচরণ আরও বেশি শত্রুভাবাপন্ন হতে শুরু করে। এমনকি শেষ ম্যাচে হারের পর সমর্থকদের দুয়োর কারণে বিদায়টাও ঠিকমতো নিতে পারেননি মেসি।  

এদিকে মেসির নতুন ক্লাব ইন্টার মায়ামির সময়টাও ভালো যাচ্ছে না। মেজর লিগ সকারের ইস্টার্ন কনফারেন্সে একদম তলানিতে রয়েছে তারা। ১৬ ম্যাচের ১১ টিতেই হেরেছে। ব্যর্থতার জেরে বরখাস্ত হয়েছেন কোচ ফিল নেভিল। গুঞ্জন আছে, ডাগআউটে তার জায়গা নিতে যাচ্ছেন বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনার সাবেক কোচ তাতা মার্তিনো।  

বাংলাদেশ সময়: ০১০৯ ঘণ্টা, জুন ৮, ২০২৩

এএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।