ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

আব্দুল আলীমের জন্ম, এপিজে কালামের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
আব্দুল আলীমের জন্ম, এপিজে কালামের প্রয়াণ আব্দুল আলীম ও এপিজে কালাম

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে।

প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়— যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানব সভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সবসময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

২৭ জুলাই ২০২০, সোমবার। ১২ শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৬৯৪- ব্যাংক অব ইংল্যান্ড অনুমোদন লাভ করে।
১৭৬১- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৮৬৮- আটলান্টিক টেলিগ্রাফ কেবল স্থাপনের কাজ শেষ হয়।
১৯২০- প্লেন চালনার জন্য প্রথম রেডিও কম্পাস ব্যবহার শুরু হয়।
১৯২১- ইনসুলিন আবিষ্কৃত হয়।
২০০৭- ঢাকা-মিয়ানমার সরাসরি যোগাযোগ চুক্তি স্বাক্ষর করে।

জন্ম
১৮৩৫- নোবেলজয়ী ইতালীয় কবি ও শিক্ষক জিওসুয়ে কার্দুচ্চি।
১৯০৯- বিশ্ববিখ্যাত অনুজীব বিজ্ঞানী ও গবেষক মঞ্জুরুল ইসলাম।
১৯৩১- বাংলা লোকসংগীত শিল্পী আব্দুল আলীম।

বাংলা লোকসংগীতের এই অমর শিল্পী লোকসংগীতকে অবিশ্বাস্য এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যেখানে জীবন, জগৎ ও ভাববাদী চিন্তা একাকার হয়ে গিয়েছিল। ১৯৭৭ সালে তিনি মরণোত্তর একুশে পদক পান। এর আগে ১৯৭৪ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি মারা যান।

১৯৩৫- বরেণ্য নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম সৈয়দ হাসান ইমাম।
১৯৭১- প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।

সজীব ওয়াজেদ জয় ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে জন্ম নেন। বাবা এমএ ওয়াজেদ মিয়া, একজন খ্যাতনামা পরমাণু বিজ্ঞানী এবং মা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৌহিত্র।

মৃত্যু
২০১৫- ভারতের প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এপিজে আবদুল কালাম।

তিনি কর্মজীবন শুরু করেছিলেন বিজ্ঞানী হিসেবে। পরে ঘটনাচক্রে ধর্মনিরপেক্ষ ভারতের একাদশ রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি পদার্থবিদ্যা বিষয়ে সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে এবং বিমান প্রযুক্তিবিদ্যা বিষয় নিয়ে মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে পড়াশোনা করেছিলেন। এরপর ৪০ বছর তিনি প্রধানত রক্ষা অনুসন্ধান ও বিকাশ সংগঠন (ডিআরডিও) এবং ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থায় (ইসরো) বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান প্রশাসক হিসেবে কাজ করেন। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও মহাকাশযান রকেট উন্নয়নের কাজে তার অবদানের জন্য তাকে ‘ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র মানব’ বা ‘মিসাইল ম্যান অব ইন্ডিয়া’ বলা হয়। এছাড়া ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ভারতরত্নসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সম্মান ও পুরস্কার পেয়েছিলেন কালাম।

বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০২০
টিএ/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।