ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

নিউটনের জন্ম-আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২০
নিউটনের জন্ম-আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের প্রয়াণ

ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৪ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার। ২০ পৌষ ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
৪৬ খ্রিস্টপূর্ব- টিটাস ল্যাবিয়েনাস রক্তক্ষয়ী রুসপিনার যুদ্ধে জুলিয়াস সিজারকে পরাজিত করেন।
৮৭১- রিডিংয়ের যুদ্ধে ওয়েসেক্সের এথেলরেড দিনেমার বাহিনীর হাতে পরাজিত হন।
১০৬৬- হেস্টিংসের যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
১৪৯৩- ক্রিস্তোফার কলম্বাস নব আবিষ্কৃত আমেরিকা এলাকা ত্যাগ করে তার প্রথম সফরের সমাপ্তি ঘটান।
১৬৪২- ব্রিটেনের গৃহযুদ্ধে রাজা প্রথম চার্লস সংসদ আক্রমণ করেন।

জন্ম
১৬৪৩- পদার্থবিজ্ঞানী, গণিতবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, প্রাকৃতিক দার্শনিক এবং আলকেমিস্ট আইজ্যাক নিউটন।

অনেকের মতে, নিউটন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী বিজ্ঞানী। ১৬৮৭ সালে তার বিশ্বনন্দিত গ্রন্থ- ‘ফিলসফিয়া ন্যাচারালিস প্রিন্সিপিয়া ম্যাথামেটিকা’ প্রকাশিত হয়। এতে তিনি সার্বজনীন মহাকর্ষ এবং গতির তিনটি সূত্র বিধৃত করেন। এই সূত্র ও মৌল নীতিগুলোই চিরায়ত বলবিজ্ঞানের ভিত্তি হিসেবে কাজ করেছে। তিনিই প্রথম দেখান, পৃথিবী ও মহাবিশ্বের সব বস্তু একই প্রাকৃতিক নিয়মের অধীনে পরিচালিত হয়। শব্দের দ্রুতি ও শীতলীকরণ প্রক্রিয়া বিষয়েও তিনি গবেষণা পরিচালনা করেন এবং এ থেকে নিউটনের শীতলীকরণ সূত্র এসেছে। নিউটন ও লাইবনিজ যৌথভাবে ক্যালকুলাস নামে গণিতের একটি নতুন শাখা শুরু করেন। এই নতুন শাখাটিই আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে বিপ্লব সাধনে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে। ১৭২৭ সালের ৩১ মার্চ এ মহান বিজ্ঞানী মৃত্যুবরণ করেন।

১৭৮৫- জার্মান ভাষাতাত্ত্বিক, আইনজ্ঞ ও পুরাণবেত্তা ইয়াকপ গ্রিম।
১৯৪০- সাহিত্যে নোবেলজয়ী চীনা ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক এবং অনুবাদক গাও শিংশিয়ান।
১৯৫০- বাংলাদেশি কবি ও সাহিত্য সমালোচক খোন্দকার আশরাফ হোসেন।

মৃত্যু
১৯৬০- নোবেলজয়ী আলজেরিয়ান সাহিত্যিক অ্যালবার্ট কাম্যু।
১৯৬১- একজন অস্ট্রিয়ান পদার্থবিদ এর‌উইন শ্রোডিঙ্গার।
১৯৯৭- বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস।
তিনি একজন স্বল্পপ্রজ লেখক ছিলেন। দু’টি উপন্যাস, গোটা পাঁচেক গল্পগ্রন্থ আর একটি প্রবন্ধ সংকলন- এই নিয়েই তার রচনাসম্ভার। বাস্তবতার নিপুণ চিত্রণ, ইতিহাস ও রাজনৈতিক জ্ঞান, গভীর অন্তর্দৃষ্টি ও সূক্ষ্ম কৌতুকবোধ তার রচনাকে দিয়েছে ব্যতিক্রমী সুষমা। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর পরেই তিনি সর্বাধিক প্রশংসিত বাংলাদেশি লেখক। চিলেকোঠার সেপাই, খোঁয়ারি, খোয়াবনামা তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

বাংলাদেশ সময়: ০০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৯
টিএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।