ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

ইতিহাসের এই দিনে

সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের প্রয়াণ

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের প্রয়াণ ফিরোজা বেগম/ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ইতিহাস আজীবন কথা বলে। ইতিহাস মানুষকে ভাবায়, তাড়িত করে। প্রতিদিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা কালক্রমে রূপ নেয় ইতিহাসে। সেসব ঘটনাই ইতিহাসে স্থান পায়, যা কিছু ভালো, যা কিছু প্রথম, যা কিছু মানবসভ্যতার আশীর্বাদ-অভিশাপ।

তাই ইতিহাসের দিনপঞ্জি মানুষের কাছে সব সময় গুরুত্ব বহন করে। এ গুরুত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য নিয়মিত আয়োজন ‘ইতিহাসের এই দিন’।

০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, সোমবার। ২৫ ভাদ্র ১৪২৬ বঙ্গাব্দ। ০৯ মহররম ১৪৪০ হিজরি। এক নজরে দেখে নিন ইতিহাসের এ দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

ঘটনা
১৯৪৮- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বিভক্ত কোরিয়ার উত্তরাঞ্চল স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়; এর নাম ‘উত্তর কোরিয়া’।

১৯৬৯- কানাডায় দাপ্তরিক ভাষা আইন বাস্তবায়ন হয়। যার মাধ্যমে ফরাসি ভাষা ইংরেজি ভাষার সমান মর্যাদা পায়।
১৯৭০- ইসরায়েল ও ইউরোপে বন্দি ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দাবিতে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন একটি ব্রিটিশ প্লেন ছিনতাই করে। প্লেনটি জর্ডানের ডাওজন প্রান্তরে নামানো হয়।
১৯৯১- তাজিকিস্তান সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে।
১৯৯৩- পিএলও বা প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়।

জন্ম
১৮৮২- বাঙালি ঔপন্যাসিক অনুরূপা দেবী।
১৯৪১- মার্কিন প্রোগ্রামার ও কম্পিটারবিজ্ঞানী ডেনিস রিচি। তিনি সি প্রোগ্রামিং ভাষার জনক।
১৯৬৭- ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেতা অক্ষয় কুমার।
১৯৮৩- স্প্যানিশ ফুটবলার ভিটোলো।
১৯৮৭- ইংলিশ অভিনেতা জোসোয়া হের্ডম্যান।
১৯৮৮- কলাম্বিয়ান মডেল ম্যানুয়েলা আরবেলায়েজ।
১৯৮৮- ইতালিয়ান ফুটবলার দানিয়ালো ডি’আম্ব্রোসিও।

মৃত্যু
১০৮৭- ইংরেজ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা প্রথম উইলিয়াম (ইংল্যান্ড)।
১৮৯৮- ফরাসি কবি মালার্মে।
১৯৬৮- বাঙালি লেখক অশোক বড়ুয়া।
১৯৭৬- চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির নেতা মাও সে তুং।
২০১৪- নজরুল সংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফিরোজা বেগম।

সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি নজরুল সংগীতের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন। ভারতীয় উপমহাদেশে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তাকে বাংলা সংগীতের প্রতীকীরূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১৯৪০ এর দশকে তিনি সংগীত ভুবনে পদার্পণ করেন। ফিরোজা বেগম ষষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গানে কণ্ঠ দেন। ১৯৪২ সালে ১২ বছর বয়সে বিখ্যাত গ্রামোফোন কোম্পানি এইচএমভি থেকে ৭৮ আরপিএম ডিস্কে ইসলামী গান নিয়ে তার প্রথম রেকর্ড বের হয়। দশ বছর বয়সে ফিরোজা বেগম কাজী নজরুলের সান্নিধ্যে আসেন এবং তার কাছ থেকে তালিম নেন। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তার প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে। কাজী নজরুল অসুস্থ হওয়ার পর ফিরোজা বেগম নজরুলসংগীতের শুদ্ধ স্বরলিপি ও সুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি ৩৮০টির বেশি একক সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেন। নজরুলসংগীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ ও নাত গেয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।