ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

ফিচার

শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতের রচয়িতা নিয়ে বিতর্ক

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, কলকাতা | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০১১
শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংগীতের রচয়িতা নিয়ে বিতর্ক শ্রীলংকার জাতীয় প্রতীক

শ্রীলংকার জাতীয় সংগীতের রচয়িতা কে? রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নাকি তার ছাত্র আনন্দ সামারাকুন? এ নিয়ে বিতর্ক আছে।

সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারা অনুপ্রাণিত ও উৎসাহিত হয়ে গানটি লিখেছেন শ্রীলঙ্কার খ্যাতিমান সংগীত ব্যক্তিত্ব আনন্দ সামারাকুন।

 

অনেকে মনে করেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর পুরো গানটি লিখেছেন। কেউ কেউ বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ গানটির সুরকার এবং আনন্দ সামারাকুন রচয়িতা। কিন্তু এই গান রচনায় রবীন্দ্রনাথের সরাসরি যুক্ত থাকার ধারণা অস্বীকার করেছেন ভারতীয় ঐতিহাসিক লিপি ঘোষ এবং শ্রীলঙ্কার ঐতিহাসিক সান্দাগমি কোপেরাহেওয়া।

আমরা জানি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একমাত্র ব্যক্তি, যার লেখা ও সুর করা দুটি গান দুই দেশের জাতীয় সংগীত। একটি  ভারতের ও অন্যটি বাংলাদেশের।

একপক্ষ বলে থাকে, আনন্দ সামারাকুন ১৯৩০ সালে শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতীতে কলা ও সংগীত বিভাগে পড়তে এসেছিলেন। তিনি ছিলেন রবীন্দ্রনাথের প্রিয় ছাত্র। ১৯৩৮ সালে তিনি গুরুদেবের কাছে তার দেশের জন্য একটি গান লিখে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রিয় ছাত্রের এই অনুরোধ ফেরাতে পারেননি রবীন্দ্রনাথ। বাংলায় লিখে দেন ‘নম নম শ্রীলঙ্কা মাতা’। সুর করে গানটি তুলেও দেন আনন্দকে। পরে ১৯৫১ সালের ২২ নভেম্বর এই গানটিকেই শ্রীলঙ্কার জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
 
অন্যপক্ষের দাবি, শ্রীলঙ্কায় রবীন্দ্রচর্চার পথিকৃৎ ছিলেন আনন্দ। তিনি রবীন্দ্রনাথের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত ছিলেন। আর সে কারণে তার রচিত গানটিতে রবীন্দ্রনাথের কথা ও সুরের জোরালো প্রভাব আছে। তাই অনেকে তা রবীন্দ্রনাথের রচনা বলে মনে করেন।

বাংলাদেশ সময় ১৩৫৮, এপ্রিল ২৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।