ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ফিচার

বসুন্ধরা সিটি : ৬ পেরিয়ে ৭ বছরে

ফিচার ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১০
বসুন্ধরা সিটি : ৬  পেরিয়ে ৭ বছরে

যদি জিজ্ঞেস করা হয়, দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল কোনটি? অনেকটা গর্বের সাথেই যেন আমরা বলি-- বসুন্ধরা সিটি। কিন্তু কেবল আরামদায়ক কেনাকাটার জন্যই নয়, বরং এ যেন আমাদের রাজধানীর একটি দর্শনীয় স্থান হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এমন অনেকেই আছেন, যারা ঢাকা আসবেন অথচ বসুন্ধরা সিটিকে একনজর দেখবেন না, এমনটা ভাবতেই পারেন না। এই বৃহত্তম শপিং মল বা বিনোদন কেন্দ্রটি আধুনিক স্থাপত্য নকশা অনুযায়ী নির্মিত হয়েছে। এটি পশ্চিমা ঢঙে নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম বৃহত্তম ভবন। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম শপিং মল হিসেবে ২০০৯ সালে বসুন্ধরা সিটি অর্জন করেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পুরস্কার ‘সুপারব্রান্ড’। কেবল নিত্যনতুন দেশি-বিদেশি পণ্যর জন্যই নয়, বরং আরামদায়ক কেনাকাটা, বিনোদনসহ নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার কারণে বসুন্ধরা সিটি হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ শপিং মল।

বসুন্ধরা সিটিতে প্রবেশ করলে যে কারোই মনে হবে, আমরা পাশ্চাত্যের কোনো অত্যাধুনিক শপিং মলে এসেছি। ফলে এ শপিং মলটিকে কেন্দ্র করে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। প্রতিদিনই এখানে আসে হাজার হাজার লোক। এদের মধ্যে বেশিরভাগই আসেন দেশি-বিদেশি পোশাক, কসমেটিকস, জুতা, পণ্য, খেলনা, সিডি, গৃহসজ্জার উপকরণসহ প্রয়োজনীয় নানা কিছু কেনাকাটা করতে। এছাড়া অনেকেই আসেন স্টার সিনেপ্লেক্সে সিনেমা দেখতে, কেউ ঘোরাফেরা-খাওয়াদাওয়া করতে আবার কেউ কেবল এই চমৎকার মার্কেটটিকে এক নজর দেখার জন্য।

৪ অক্টোবর সোমবার দুপুরে পালিত হলো বসুন্ধরা সিটির অ্যাট্রিরিয়ামে এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বসুন্ধরা সিটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকার পান্থপথে প্রায় সাড়ে ১৩ বিঘা জমির ওপর। ২০০৪ সালের মে মাসে নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর ৫ অক্টোবর বসুন্ধরা সিটি বাণিজ্যিকভাবে খুলে দেওয়া হয়।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের কারিগরি উপদেষ্টা ও বসুন্ধরা সিটির ইনচার্জ টিআইএম লতিফুল হোসেন।   ১৫ কেজি ওজনের কেক কেটে অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন সাদাত সোবহান। পরে দোকান মালিক সমিতির উদ্যোগে কাটা হয় অপর আরেকটি কেক।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানের। এতে গান পরিবেশন করেন চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠ ঝিলিক, বেনসন অ্যান্ড হেজেসের ২০০১ সালের সেরা কণ্ঠ আরিফ এবং বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মী সীমা ও কাজল।

এ অনুষ্ঠানে সর্বসাধারণের অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। শপিং মলের অ্যাট্রিয়ামের ১ তলা থেকে ৭ তলা পর্যন্ত রেলিং জুড়ে ছিল অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য লোকজনের উপচে পড়া ভিড়।

বসুন্ধরা সিটি ভবনটি একটি ২১ তলা ভবন। এর মধ্যে নিচের ৮ তলা বিপণিকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বসুন্ধরা সিটিতে দোকান রয়েছে  ২৩৫০টি। এর মধ্যে রয়েছে দেশি-বিদেশি পণ্যের দোকান, মেগা স্টোর, থিম পার্ক, সিনেমা হল, সুইমিং পুল, ফুড কোর্ট ও ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়। এ ভবনের ৭তম তলা পর্যন্ত শপিং মল। ৮ম তলায় ফুড কোর্ট, থিম পার্ক ও সিনেমা হল।

ভবনের নবম ও দশম তলায় রয়েছে শরীরচর্চা কেন্দ্র ও সুইমিংপুল। এছাড়া ১১ তলা থেকে ১৯ তলা পর্যন্ত রয়েছে বিভিন্ন অফিস। এর মধ্যে আছে ইস্ট ওয়েস্ট প্রপার্টি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডর অফিস।   ১২ ও ১৩ তলায় রয়েছে দেশের শীর্ষ অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডি ও প্রকাশিতব্য ইংরেজি দৈনিক ডেইলি সানের কার্যালয়। এছাড়া বসুন্ধরা সিটির বেইসমেন্ট ১ ও বেইসমেন্ট ২-এ রয়েছে দৈনিক কালের কণ্ঠের কার্যালয় এবং সুবিশাল পার্কিং স্পেস।

বসুন্ধরা সিটি কেনাকাটা ও বিনোদনের এমন এক জায়গা যেখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অনায়াসে কাটানো যায় আনন্দের সাথে। কেননা, এখানে আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য কেনার পাশাপাশি আপনি চাইলে খাবার খেতে পারেন ফুড কোর্টে, সাঁতার কাটতে পারেন সুইমিংপুলে, দেশি-বিদেশি সিনেমা দেখতে পারেন স্টার সিনেপ্লেক্সে কিংবা যদি কিছু করার নাও থাকে আপনি অনায়াসে ঘুরে বেড়াতে পারেন এর সুপরিসর চত্বরে।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ১৭৫৫, অক্টোবর ০৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad