ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

সেই লজ্জাবতী বানর সুস্থ হয়ে ফিরলো জঙ্গলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
সেই লজ্জাবতী বানর সুস্থ হয়ে ফিরলো জঙ্গলে

খাগড়াছড়ি: একদল শিকারির তীক্ষ্ণ চোখে ধরা পড়ে একটি লজ্জাবতী বানর। শিকারির লাঠির আঘাতে আহত বন্য প্রাণিটি হয়তো একপর্যায় পোষা প্রাণীর খাঁচায় বন্দি কিংবা আহার হতো।

কিন্তু নাহ! শেষ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বনের প্রাণী বনেই ফিরে গেল।

খাগড়াছড়ির জেলা সদরের পেরাছড়া ইউনিয়নের বেলতলি এলাকার বাসিন্দা কুনাল ত্রিপুরা সুস্থ করে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দিয়েছেন। আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই কাজ ছড়িয়ে পড়ায় প্রশংসা করছেন অনেকে। কুনাল ওই এলাকার ত্রিদ্বিপ রায় ত্রিপুরার ছেলে।  

জানা যায়, গত ৪ মার্চ বেলতলি গ্রামের জঙ্গলে একদল শিকারি শিকার করতে যায়। তাদের জালে লজ্জাবতী বানরটি ধরা পড়ে। লাঠির আঘাতে আহত লজ্জাবতী বানরটি নিয়ে ফিরছিলেন। এ সময় কুনাল দুই হাজার টাকা দিয়ে লজ্জাবতী বানরটি কিনে নেন। পরে এক মাস নিজ বাসায় সেবা করে আহত প্রাণীটি সুস্থ করে তোলেন। সুস্থ হওয়ায় শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকালে কুনাল গভীর জঙ্গলে প্রাণীটি ছেড়ে দেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীদের প্রশংসা কুড়ায় তিনি।

কুনাল জানান, শিকারিদের আহত প্রাণীটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললে তারা অপারগতা প্রকাশ করে। প্রাণীটি বিক্রি করতে না পারলে খেয়ে ফেলার কথা জানায়। বিষয়টি আমার মাকে জানালে তাঁর পরামর্শে শেষ পর্যন্ত দুই হাজার টাকায় প্রাণীটি কিনে নিয়ে আসি। বাসার সবাই দীর্ঘদিন প্রাণীটি সেবাযত্ন করে পুরোপুরি সুস্থ করে তুলি। আজ গভীর জঙ্গলে প্রাণীটি ছেড়ে দিয়েছি।  

খাগড়াছড়ি পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুহাম্মদ আবু দাউদ বলেন, পাহাড়ে যে বন্য প্রাণী ছিল। দিনে দিনে তা কমে আসছে। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও শিকারিদের জালে নানা প্রাণী আটকা পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে কুনাল ও তাঁর পরিবারের প্রাণীর প্রতি এমন ভালোবাসা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।  

বন্য প্রাণীতে ভরপুর প্রাকৃতিক পরিবেশ ধরে রাখতে আমাদের সচেতন হওয়া উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২২
এডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।