ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

পহেলা নভেম্বর খুলছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
পহেলা নভেম্বর খুলছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের মহাবিপন্ন উল্লুক

মৌলভীবাজার: করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ১ নভেম্বর রোববার খুলছে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। এর ফলে প্রকৃতিপ্রেমী পর্যটকরা নির্দিষ্ট ফি এর বিনিময়ে বন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন।

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্র জানায়, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ‘সাধারণ ছুটি’ ঘোষণার পর দেশের অন্য জাতীয় উদ্যানের মতো লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানও বন্ধ করে দেওয়া হয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। বর্তমানে কয়েক মাস যাবত লাউয়াছড়ায় পুরোপুরিভাবে বন্ধ রয়েছে পর্যটকের আনাগোনা। ফলে চিরসবুজ বনের প্রকৃতি তার সৌন্দর্য ফিরে পেয়েছে।

বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আগামী ১ নভেম্বর থেকে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান দশনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে, এমন সিদ্ধান্তের কথা আমি মন্ত্রণালয় থেকে শুনেছি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলেই এ ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ’

তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারিভাবে ছুটি ঘোষণা পরপরই আমরা লাউয়াছড়ায় পর্যটকের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিই। শুধু লাউয়াছড়াই নয়, সিলেটের বিভাগের বিভিন্ন জাতীয় উদ্যানেও একই সিদ্ধান্ত ঘোষিত হবে। কয়েকদিন পরই পর্যটকরা এখনকার বন ভ্রমণের সুযোগ পাবেন বলে জানান এ কর্মকর্তা। ’

মৌলভীবাজার বন্যপ্রাণী রেঞ্জ সূত্র জানায়, তৎকালীন আসাম সরকার ১৯১৭ সালে পশ্চিম ভানুগাছের ১ হাজার ২৫০ হেক্টর বনভূমিকে প্রাথমিকভাবে সংরক্ষিত সম্পদ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে। এরপর ১৯২৫ সালে অনুষ্ঠানিকভাবে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা এবং পরে ১৯৯৬ সালে ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জায়গা নিয়ে লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়। বনের চারপাশ ঘিরে চা বাগান, হাওর, সংরক্ষিত বন ও বনসংলগ্ন গ্রাম রয়েছে।

লাউয়াছড়ায় জাতীয় উদ্যানে রয়েছে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ এবং ২৪৬ প্রজাতির আবাসিক এবং পরিযায়ী পাখি। এছাড়াও রয়েছে কয়েক প্রজাতির স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ এবং উভচর প্রাণী। এগুলোর মধ্যে অন্যতম মহাবিপন্ন উল্লুক, মুখপোড়া হনুমান, লজ্জাবতী বানর, বনরুইসহ বিরল প্রজাতির বিপন্ন প্রাণী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২০
বিবিবি/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।