ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য

হারিয়ে গেছে সিলেটের সুস্বাদু ‘রাম টেংরা’ 

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বাপন, ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
হারিয়ে গেছে সিলেটের সুস্বাদু ‘রাম টেংরা’ 

মৌলভীবাজার: টেংরা মাছের কথা আমরা সবাই কমবেশি জানি। কিন্তু রাম টেংরার কথা তেমন একটা জানা হয়নি। তবে বেদনার কথা হলো- প্রাকৃতিক জলাভূমি থেকে প্রায় হারিয়ে গেছে এ সুস্বাদু ‘রাম টেংরা’।

এক সময় দেশের হাওর, বিল, জলাশয়সহ নদ-নদীতে এ মাছ প্রচুর পরিমাণে দেখা গেলেও এখন আর পাওয়াই যাচ্ছে না।

রাম টেংরা বিশেষত সিলেট বিভাগে পরিচিত মাছগুলোর একটি।

এ অঞ্চলের জলাশয়ে এ মাছ পাওয়া যেত। কিন্তু সেসব আজ স্মৃতি।  

প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা (আইইউসিএন) এর তথ্য মতে, ‘রাম টেংরা’ বিপন্ন প্রজাতির মিঠাপানির মাছ।

শ্রীমঙ্গল নতুন বাজার মাছের আড়তের ব্যবসায়ী মনসুর আলী। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের পরিচিত অন্য মাছের মতো এ রাম টেংরাও অত্যন্ত সুস্বাদু মাছ। হাওরে গেলেই এগুলো চোখে পড়তো আগে। আমার ছোটবেলা আব্বার সঙ্গে এ মাছ ধরে কেটেছে। এখন এ মাছ চোখে দেখি না। কই যে হারিয়ে গেলো!’

শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. সহিদুর রহমান সিদ্দিকী এ মাছটি সম্পর্কে বাংলানিউজকে বলেন, রাম টেংরার অন্য নামগুলো হলো ‘ঘাগলা’, ‘কাউন মাগুর’ এবং ‘গাং মাগুর’। অঞ্চলভেদে এ নামকরণগুলো করা হয়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে এ মাছটিকে ‘রাম টেংরা’ নামেই চেনেন সবাই।
 
“মাছটি যে একেবারেই হারিয়ে গেছে তা নয়; তবে আগের চেয়ে পাওয়া যায় অনেকাংশেই কম। সাধারণত নদী, হাওর ও বিলে এ মাছটির বসবাস। ‘রাম টেংরা’র বৈজ্ঞানিক নাম Hemibagrus menoda। ”
 
মাছটি সম্পর্কে এ আরও কর্মকর্তা বলেন, মাছটি বৃহত্তর সিলেটের। হাকালুকি হাওর, হাইল হাওর, টাংগুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন বিলে এদের দেখা যায়। আমাদের মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নেত্রকোণাসহ অন্য জেলায়ও পাওয়া যেত। এ মাছটি খুবই সুস্বাদু। মানবদেহের জন্য উপকারী পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এবং কাটা কম থাকায় এ মাছটি সবার কাছে বিশেষ পছন্দের।

গত কয়েক বছর আগে আমাদের দেশে যেসব দেশীয় প্রজাতির মাছ বাজারে দেখা যেত তা এখন চোখেই পড়ে না। আমাদের দেশে সুবিধাজনক স্থানে একাধিক মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপনের মাধ্যমে বিপন্ন প্রজাতির এ মাছগুলোকে পুনরায় প্রকৃতিতে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৯
বিবিবি/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad