ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

নাগরিক শোকসভায় ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

‘নৌকমান্ডো আবু মুছাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়া সময়ের দাবি’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
‘নৌকমান্ডো আবু মুছাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান ও স্বীকৃতি দেওয়া সময়ের দাবি’

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে দুনিয়া কাঁপানো অ্যাভলু  জাহাজ ধ্বংসসহ  ছয়টি নৌযুদ্ধ সফল করে নায়ক থেকে মহানায়ক হওয়া নৌকমান্ডো আবু মুছা চৌধুরীকে রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মান ও স্বীকৃতি দেয়া সময়ের দাবী।  
১৬ বছরের স্কুল পড়ুয়া এই বীর অসীম সাহসিকতায় যুদ্ধ করে পাকিস্তানী বাহিনীকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করেন।

 
আবু মুছা চৌধুরী অবদান নতুন প্রজন্মকে জানাতে দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য বীরত্বের কাহিনি পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা করলে তারা দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে। নাম ফটিকছড়ি এবং চট্টগ্রাম শহরে স্থাপনার নামকরণ, তার অপারেশনস্থল কর্ণফুলী নদীর তীরে স্ট্যাচু স্থাপন এবং দেশের সকল নৌ স্থাপনায় তাঁর নামে স্মারক স্মৃতি রাখাও জরুরি।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে নৌ-কমান্ডো আবু মুছা চৌধুরীর স্মরণে নারায়ণহাট শিক্ষা কমপ্লেক্স মাঠে নাগরিক শোক সভায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।  

নারায়ণহাট ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক ছিলেন, স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) ও পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
আলোচক ছিলেন, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব এবং বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দীন, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম-সচিব মোঃ শওকত আকবর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নুরুল করিম, বিজিএমইএ সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি মোঃ নাসির উদ্দিন, বিআউডিএস বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস, টেক্সাস এ. অ্যাড.এম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, আমেরিকার অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড. ফটিক নাথ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসিন কাজী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির রহমান সানি।

বক্তব্য রাখেন, নারায়ণহাট কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের, মাওলানা জসিম উদ্দিন, লেখিকা রোমানা নাওয়ার প্রমুখ।

বক্তারা আরও বলেন, আবু মুছা চৌধুরী সাধারণ কোনো যোদ্ধা নন, তাঁর সফল অপারেশন আছে এমন বীর যোদ্ধা বিরল। তিনি অপারেশন জ্যাকপট ছাড়াও নারায়ণগঞ্জে তুরাগ জাহাজ অপারেশন, বিশ্ব গোডাউনে মিনি লায়ন, মিনি লেডি এবং ঢাকা- চট্টগ্রাম রোডের কাঁচপপুর ফেরিঘাট অপারেশনে অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দেন। এই বীরের স্বীকৃতির জন্য আগামীতে তাঁকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করার দাবী জানান বক্তারা।
অনুষ্ঠানে নারায়ণহাট-ধামারখিল- দৈলারখিল সড়কটি আবু মুছা চৌধুরী সড়ক হিসেবে নামকরণ করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০২২
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।