ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

মন্ট্রিল দক্ষিণ এশীয় উৎসবে সেরা ‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’ 

বিনোদন ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
মন্ট্রিল দক্ষিণ এশীয় উৎসবে সেরা ‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’  বেস্ট ফিচার ডকুমেন্টারির পুরষ্কার অর্জন করেছে ‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’

কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত ১১ তম দক্ষিণ এশীয় চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশি নির্মাতা সোহেল রহমানের ‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’ বেস্ট ফিচার ডকুমেন্টারির পুরষ্কার অর্জন করেছে। গেল ২৮ নভেম্বর উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল জুরি বোর্ড এ পুরষ্কার ঘোষণা করে।

‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’-এর প্রশংসা করে জুরি বোর্ড উল্লেখ করেন, এই সিনেমাটিতে সংকল্পবদ্ধ দুই রোহিঙ্গা শিশুর নিত্যদিনের জীবনের লড়াই শ্রদ্ধার সঙ্গে ফুটে উঠেছে। পরিচালক সোহেল অত্যন্ত সৎ, বিনয় ও স্নেহপূর্ণভাবে গণহত্যায় ক্ষত বিক্ষত রোহিঙ্গা শরণার্থী সম্প্রদায়ের একটি গভীর পর্যবেক্ষণ উপস্থাপন করেছেন এই সিনেমায়।  

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে এ পুরষ্কার উৎসর্গ করে সোহেল বলেন, ‘বিশ্বে এখন শান্তি ও ভালোবাসা প্রয়োজন, আমরা আর কারও রক্ত দেখতে চাই না। আর কোন গণহত্যা দেখতে চাই না। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদেরকে বাংলাদেশে রিলোকেশনের পরিবর্তে মায়ানমারে রিপাট্রিয়েশনের ব্যবস্থা করতে হবে। ’

‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’-এর গল্পে দেখানো হয়েছে, রোহিঙ্গা শিশু আয়াস ও আসিয়া ভাইবোন। গণহত্যার পর মায়ের সঙ্গে পালিয়ে এসে আশ্রয় নিয়েছে কুতুপালং ক্যাম্পে। তাদের বাবা আটকে আছে মায়ানমারের কারাগারে। বাবাকে মুক্ত করতে ঘুষ হিসেবে বড় অংকের টাকা দরকার। সে টাকা যোগাড় করতে ভাই-বোন মিলে ক্যাম্পের ভিতরে আইসক্রিম বিক্রি শুরু করে।

সারা দিন ক্যাম্পের এ দুয়ার থেকে ও দুয়ারে আইসক্রিম বিক্রি করে তাকে। গণহত্যার ভারে সবাই যখন হাহাকার করছে, তখন এই দুই শিশু  আশা ও স্বপ্ন নিয়ে শুরু করে জীবনের কঠিন যুদ্ধ। তাদের স্বপ্ন বাবাকে একদিন কারাগার থেকে মুক্ত করবে। এমন মানবিক গল্পই উঠে এসেছে ‘দ্যা আইসক্রিম সেলারস’ সিনেমায়।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২১
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।