ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

বিনোদন

তিন তারকার জন্মদিন 

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
তিন তারকার জন্মদিন  আনোয়ারা, কুমার বিশ্বজিৎ ও চঞ্চল চৌধুরী

কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আনোয়ারা, কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও শক্তিমান জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্রাভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর জন্মদিন মঙ্গলবার (১ জুন)। তারা তিনজনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্ত ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছায় ভাসছেন।

১৯৪৮ সালের ১ জুন কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন আনোয়ারা। তার বাবা জামাল উদ্দিন ও মা ফরিদুন্নেসা। তার বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দিতে।

ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে আনোয়ারার আগমন ঘটে একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে। ১৯৬১ সালে ১৪-১৫ বছর বয়সে অভিনেতা আজিমের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। এসময় তিনি পরিচালক ফজলুল হকের ‘আজান’ চলচ্চিত্রে প্রথম নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন।

নবাব সিরাজউদ্দৌল্লা চলচ্চিত্রটি ছিল আনোয়ারার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এ চলচ্চিত্রে তিনি আলেয়া চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকের অন্তরে স্থায়ী আসন গড়ে নেন। সিনেমাটি তাকে খ্যাতি এনে দেয়।  

আনোয়ারার চলচ্চিত্র জীবনের আরও ৩টি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ১৯৮২ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দেবদাস’ ও ১৯৮৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘শুভদা’।

১৯৬৩ সালের ১ জুন জন্ম নেন কুমার বিশ্বজিৎ। তার শৈশব কেটেছে চট্টগ্রাম জেলায়। ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গান দিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রাবস্থাতেই তিনি পেয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়কের খ্যাতি।

এরপর বহুদূর এগিয়ে এসেছেন। বাংলা আধুনিক কিংবা চলচ্চিত্রের গানে দীর্ঘ চার দশক ধরে কণ্ঠ দিচ্ছেন কুমার বিশ্বজিৎ। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন তিনি।  

তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘তুমি রোজ বিকেলে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার’, ‘জন্মিলে মরিতে হবে’, ‘কিছুই নাকি দেইনি তোমায়’, ‘তুমি ছাড়া আমি যেন মরুভূমি’, ‘তোমরা একতারা বাজাইও না’, ‘যারে ঘর দিলা সংসার দিলা রে’ ইত্যাদি।  

পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে ১৯৭৪ সালের ১ জুন জন্মগ্রহণ করেন টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।

গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক এবং রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়াশোনা সম্পন্ন করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। এরপর যুক্ত হন আরণ্যক নাট্যদলে।  

থিয়েটারে অভিনয় করার সময়েই টিভি নাটকে সুযোগ পান চঞ্চল। তবে তাকে রাতারাতি পরিচিতি এনে দেয় একটি মোবাইল অপারেটরের বিজ্ঞাপনচিত্র।

২০০৬ সালে তৌকির আহমেদ পরিচালিত ‘রূপকথার গল্প’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে চঞ্চলের। এরপর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেতা বড় পর্দা মাতিয়েছেন ‘মনপুরা’, ‘মনের মানুষ’, ‘টেলিভিশন’, ‘আয়নাবাজি’ ও ‘দেবী’র মতো সিনেমা দিয়ে।  

অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করে চঞ্চল নিজের দখলে নিয়েছেন একটি বিশেষ শ্রেণীর দর্শককে। যারা প্রতিনিয়ত অভিনেতার নতুন নাটকের অপেক্ষায় থাকেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।