ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

বিনোদন

পপির সঙ্গে কিছুক্ষণ

নারী দর্শকের ছবিটি দেখা উচিত

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৪ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৫
নারী দর্শকের ছবিটি দেখা উচিত

বছর তিনেক আগে পপি অভিনীত মুক্তি পাওয়া ছবিটি ছিল ‘গার্মেন্টস কন্যা’। এরপর গত বছরের নভেম্বরে মুক্তি পায় তার ‘চার অক্ষরের ভালোবাসা’ ছবিটি।

এরপর আবারো বিরতি। নতুন বছর ২০১৫ সালের ২৯ মে মুক্তি পেয়েছে প্রয়াত অভিনেতা ও নির্মাতা আবদুল্লাহ আল-মামুন পরিচালিত ও পপি অভিনীত ছবি ‘দুই বেয়াইয়ের কীর্তি’। আবারও প্রেক্ষাগৃহের রুপালি পর্দায় দেখা মিললো চিত্রনায়িকা পপির। নতুন এ ছবিসহ নানা বিষয়ে বাংলানিউজের বিনোদন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

বাংলানিউজ : আপনার অভিনীত ‘দুই বেয়াইয়ের কীর্তি’ ছবিটি মুক্তি পেল, হলে গিয়ে দেখা হয়েছে কি ?

পপি : হ্যাঁ। মধুমিতায় ছবিটি দেখেছি। অনেকদিন পর সবার সঙ্গে হলে গিয়ে ছবিটি দেখলাম। দর্শকরাও ছবিটি দেখে আনন্দিত।

বাংলানিউজ : নির্মাণের পর ছবিটি মুক্তি পেত বেশ কয়েক বছর কেটেছে। এ ছবিটি মূলত কাদের জন্য নির্মিত।

পপি : ছবিটি সকল দর্শকের জন্য। তারপরও বলতে চাই, নারী দর্শকদের অবশ্যই ছবিটি দেখা উচিত। কারণ বাবারা অফিস আদালত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। আর ছবিটির কাহিনী ডাইবেটিসে আক্রান্ত এক কিশোরেকে নিয়ে। এখানে সেই কিশোরের মায়ের চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। মায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা এ ছবিতে দেখানো হয়েছে। আর আমার বিপরীতে অভিনয় করেছেন ফেরদৌস।

বাংলানিউজ : আবদুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
পপি : এক কথায় অসাধারণ। অভিনেতা ও নির্মাতা হিসেবে তিনি অনেক বড় মনের মানুষ ছিলেন। আর আমার কাজ দেখে প্রশংসা করতেন। কাজের প্রতি কতটা যত্নশীল হতে হয়, তা নতুন করে তিনি শিখিয়েছিলেন। ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতি’ ছবিতে আমার অভিনয় দেখার পর তিনি অনেক প্রশংসা করেছিলেন। আজও মনে পড়ে। তিনি পরিচালক হিসেবে আমার উপর আস্থা রেখেছেন। আর ভালো ছবিতে কাজ করার সুযোগ দিয়েছেন। তার নিকট আমি কৃতঙ্ঝ।

বাংলানিউজ : বর্তমানে আপন‍াকে অনেক কম ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে-এর কারণ কি?

পপি : এটা বলতে গেলে অনেক কথা বলতে হবে। ভালো ছবির সংখ্যা এখন অনেক কম। পাঁচ বছর আগেও বছরে একশ'-দেড়শ' ছবি মুক্তি পেত। কিন্তু এখন ত্রিশ-চলি্লশটির বেশি মুক্তি পায় না। নামমাত্র কিছু ভালো ছবি নির্মিত হচ্ছে। কখনো বাজাটে মিলে না, আবার কখনো ছবির চিত্রনাট্য ভালো না। নানাদিক থেকে ঝামেলার কারণে কাজ কম করা হয়। ভালো কাজ ছাড়া করবো না।

বাংলানিউজ : সামনে নতুন কি ছবি দেখতে পাবেন দর্শকরা ?
পপি : আমার অভিনীত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক ছবি ‘জীবন যন্ত্রণা‘, ‘পৌষ মাসের পিরিতি’, ‘শর্টকাটে বড়লোক’ ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে। এছাড়া ‘সোনাবন্ধু’ নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজ করতে যাচ্ছি। ছবিতে আমার সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন ডি এ তায়েব। সুমন পরিচালিত গ্রামীন পটভূমি নিয়ে এ ডিএ তায়েবের স্ত্রী মাহবুবা শাহরিন-এর ‘হতাই’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে চলচ্চিত্রটি।

বাংলানিউজ : আপনাকে এখন টিভি নাটকে অভিনয় করতে দেখা যায়, সে বিষয়ে বলুন ?
পপি : টিভি নাটকে বিশেষ দিবসে কাজ করি। একজন অভিনয়শিল্পীর ভালো গল্প পরিচালক ও পারিশ্রমিক পেলে সব মাধ্যমে কাজ করার স্বাধীনতা রয়েছে।

বাংলানিউজ : কাজ না থাকলে সময় কাটে কিভাবে আপনার?
পপি : সময় থাকে না। ঘুমের মধ্যে চলচ্চিত্র নিয়ে স্বপ্ন দেখি। ছবি দেখা হয়। চরিত্র নিয়ে ভাবি। এভাবে দিন কেটে যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জুন ১, ২০১৫
এমকে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad