ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন

কুমিল্লা থেকে আবু খালিদ

সকালে উপচে পড়া ভিড়, দুপুরে ফাঁকা!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
সকালে উপচে পড়া ভিড়, দুপুরে ফাঁকা! ছবি: শাকিল/বাংলানিউজেটোয়েন্টিফোর.কম

কুমিল্লা থেকে: ভোট গ্রহণের প্রায় ৩০ মিনিট আগ থেকে ভোট কেন্দ্রে ভীড় জমাতে শুরু করেন ভোটাররা। সকাল ১০টা পর্যন্ত প্রতিটি ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে ধরার মতো।


 
কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমতে থাকে ভোটারের সংখ্যা। বেলা ১২টার পর থেকে খালি হতে শুরু করে কেন্দ্রগুলো।

বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) বাংলানিউজের সরেজমিনে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের এমন চিত্র পাওয়া গেলো।
 
প্রিজাইডিং অফিসারদের বক্তব্য, সকালে ভোটারের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় দুপুরের পর ভোটারের সংখ্যা কমে গেছে।
 
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চার নম্বর ওয়ার্ডে ঢু মারতেই দেখা গেলো ভোট কেন্দ্র প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। এ কেন্দ্রের নিরপত্তার দায়িত্বে আছেন কুমিল্লা জেলা সদর উপ পরিদর্শক (এসআই) নূর আলম।
 
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সকালে অনেক ভীড় ছিল ভোটারদের। কিন্তু ১১টার পর থেকে কেন্দ্র ফাঁকা হতে শুরু করে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৩০ ভাগ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকালে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি ছিল।
 
বেলা আড়াইটার দিকে একেবারেই ফাঁকা হয়ে যায় ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার সালাউদ্দিন বলেন, সকালে অনেক বেশি ভোটারের উপস্থিতি ছিল। ফলে এখন অনেক কম ভোটার। বেলা দেড়টা পর্যন্ত প্রায় ৪০ ভাগ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
এছাড়া সাত নম্বর ওয়ার্ড নম্বর জয়ন্তীনগর লাল মিয়া ফরিজা রেজি: বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুই নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে চান্দিসকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তিন নম্বর শ্রীপুর (উ) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রসহ একাধিক কেন্দ্রে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
 
এদিকে ছয় ও এক নম্বর ওয়ার্ডে কিছুটা উত্তেজনা দেখা গেছে। বিশেষ করে দুই নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর সমর্থকদের মধ্য দশ মিনিটের মতো সংঘর্ষ বাধে। এতে তিন থেকে চারজন আহত হন বলে জানান, দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা।
 
আর ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের বাইরে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের উপস্থিতিতে উত্তেজনা তৈরি হয়। এসময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে।   
 
এছাড়া দুই নম্বর ওয়ার্ডে বুথে অনুমতি ছাড়া কয়েকজনের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক করে নিয়ে যান।
ভোটগ্রহণ শুরুর আগ থেকেই কুমিল্লা জেলার ছয় পৌরসভার মধ্যে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা নিয়েই সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করলেও এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
একে/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।