ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ইভিএমে আপত্তি নেই, কালো টাকা মুক্ত ভোট চায় গণতন্ত্রী পার্টি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
ইভিএমে আপত্তি নেই, কালো টাকা মুক্ত ভোট চায় গণতন্ত্রী পার্টি

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চায় গণতন্ত্রী পার্টি। একই সঙ্গে নির্বাচনে কালো টাকা, পেশির প্রভাব মুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করাসহ পাঁচ দফা প্রস্তাব দিয়েছে দলটি।

বুধবার (২০ জুলাই) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে বসে এ প্রস্তাব দেয় দলটি। সংলাপে গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ড. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

লিখিত বক্তব্যে শাহাদাত হোসেন বলেন, এবারের ইসি আমাদের পবিত্র সংবিধানের ১১৮ নং অনুচ্ছেদের আলোকে নির্বাচনী আইন প্রণয়নের মাধ্যমে একটি কাঠামো তৈরি করে তৎপ্রেক্ষিতে আপনাদেরকে নির্বাচিত করা হয়েছে। যা বিগত ৫০ বছরেও এই আইন পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়নি। বর্তমান সংসদ এই আইন পাস করে একটি যুগান্তকারী ভূমিকা নিয়েছে।

এবারের কমিশন যেহেতু সাংবিধানিক ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী গঠিত হয়েছে তাই আপনাদের কাছে জনগণের দায়িত্ব ও প্রত্যাশা অনেক বেশি।

গণতন্ত্রী পার্টির প্রস্তাবগুলো হচ্ছে-

১। সব দলের অংশগ্রহণমূলক সুষ্ঠু অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা অর্থাৎ ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে ইচ্ছে তাকে দেব’ এই নীতির আলোকে নির্বাচন আয়োজন করা।

২। নির্বাচনে কালো টাকা, পেশী শক্তির ব্যবহার বন্ধের লক্ষ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া। এই প্রসঙ্গে ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এর অধ্যায় ২ নির্বাচন কমিশন ৫ এর (২) ধারা অনুযায়ী সরকারের সব নির্বাহী কর্তৃপক্ষ কমিশনকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা দেবে এবং এই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে ইসি যে রূপ প্রয়োজন মনে করবে সেইরূপ নির্দেশনাবলী জারি করতে পারবে। এই বিধির আলোকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক করার জন্য কালো টাকা, পেশী শক্তি রোধ করার লক্ষ্যে ইসিকে দায়িত্ব নিতে হবে। তবে, সব পদক্ষেপই দেশের সংবিধানের আলোকে হতে হবে।

৩। নির্বাচনে ধর্মের অপব্যবহার নিষিদ্ধ করতে হবে।

৪। স্বাধীনতা বিরোধী কোন রাজনৈতিক দল এবং যুদ্ধাপরাধী নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

৫। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ইভিএমের মাধ্যমে নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে, এটা যেহেতু মেশিন, নিয়ন্ত্রণ করবে ইসি, তাই কোন অবস্থাতেই যাতে কেউ প্রযুক্তি ব্যবহার করে হ্যাকিং না করতে পারে সে ব্যাপারে তাদের (ইসি) সতর্ক থাকতে হবে।

সংলাপে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২০, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad