ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

জেলা পরিষদ নির্বাচন, আইন সংশোধনের অপেক্ষায় ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
জেলা পরিষদ নির্বাচন, আইন সংশোধনের অপেক্ষায় ইসি

ঢাকা: মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও জেলা পরিষদে নির্বাচন সম্পন্ন করছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ ক্ষেত্রে জেলা পরিষদ আইনের সংশোধন প্রক্রিয়াধীন থাকার বিষয়টিকে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করাচ্ছে।

সম্প্রতি স্থানীয় সরকারের আইনটি সংশোধনের জন্য একটি প্রস্তাব জাতীয় সংসদে উত্থাপন হয়েছে। সেটি বর্তমানে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রয়েছে সংসদীয় কমিটিতে। সেখান থেকে এলেই পাস হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে আইনটিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে। আর তাই সেটি দেখেই নির্বাচন আয়োজন করতে চায় ইসি।

বিদ্যমান আইন অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন, উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেয়র এবং কাউন্সিলররা বা সদস্যরা ভোট দিয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ১৫ জন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত সদস্য নির্বাচিত করে থাকেন। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে জেলা পরিষদের সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলার সংখ্যার সমান। আর নারী সদস্য সংখ্যা নির্ধারণ করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট জেলার উপজেলা চেয়ারম্যানদের মোট সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ। অর্থাৎ একেক জেলা পরিষদের সদস্যের সংখ্যা হবে একেক রকম, বিদ্যমান আইনে যেটা ২১ জন নির্দিষ্ট করে দেওয়া আছে।

বিদ্যমান আইনে পরিষদের মেয়াদ শেষ হলে বিদ্যমান পরিষদ পরবর্তী নির্বাচন না হওয়ার পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সংশোধনীতে সেটি আর থাকছে না। সেখানে সরকার প্রশাসক বসাতে পারবে। এছাড়াও বিদ্যমান আইনের বেশ কিছু ধারার পবির্বতন আনা হচ্ছে। আর সেই বিষয় দেখেই নির্বাচন কমিশন ভোটের আয়োজন করবে।

এ বিষয়ে ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব মো. ফরহাদ আহাম্মদ খান বলেন, সরকার যেহেতু আইনটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এমনকি এটি সংশোধনের জন্য সংসদের তোলা হয়েছে। হয়তো অল্প কিছুদিনের মধ্যে সংশোধন হয়ে যাবে। তাই আইনটি দেখেই ভোটের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আইনের কতটুকু পরিবর্তন আসবে আমরা জানি না। যদি এমন হয় যে, নির্বাচনী বিধিমালা সংশোধন করতে হয়, তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনকে করতে হবে। আর না হলে বিদ্যমান বিধিমালাতেই ভোট হবে। তবে সংশোধন করা লাগতে পারে।

জানা গেছে, ২০০০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার নতুন করে জেলা পরিষদ আইন প্রণয়ন করে। এরপর জোট সরকারের আমলে এ নিয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে জেলা পরিষদ পরিচালনা করে। এরপর প্রথমবারের মতো স্থানীয় এই সরকারে নির্বাচন হয় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর।

সে সময় ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) নির্বাচন হয়েছিল। এরমধ্যে ১৯টি জেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৭০৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।