ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

৫ পৌর ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
৫ পৌর ভোটের ট্রাইব্যুনাল গঠন

ঢাকা: সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচটি পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফল বাতিল কিংবা কোনো অপরাধের বিচার পেতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে।

গত ১৬ জানুয়ারি চট্টগ্রামের বাঁশখালী, নোয়াখালীর নোয়াখালী সদর, যশোরের ঝিকরগাছা, নাটোরের বাগাতিপাড়া ও নাটোর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে মেয়র পদে ২৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়াও কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে সবমিলিয়ে দুইশতাধিক প্রার্থী ভোটের মাঠে ছিলেন। এদের মধ্যে যে কোনো প্রার্থী বা যে কোনো সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তি ভোটের অনিয়ম নিয়ে প্রতিকারের জন্য ট্রাইব্যুনালে যেতে পারবেন।

ইসি আইন শাখার উপ-সচিব আফরোজা শিউলি জানিয়েছেন, নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ও আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনের গেজেট সংশ্লিষ্ট সবার কাছে পাঠানো হয়েছে।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজকে ‘নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল’ এবং জেলা ও দায়রা জজকে নিয়ে ‘নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনাল’ গঠন করা হয়েছে।

আইন অনুযায়ী, ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে হবে ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালে আবেদন জমা পড়লে আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ট্রাইব্যুনালের রায়ে কেউ সন্তুষ্ট না হলে, সে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আবার আপিল ট্রাইব্যুনালে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে আপিল ট্রাইব্যুনালও আবেদনের ১৮০ দিনের মধ্যে রায় দেবেন।

যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং যার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে দুই পক্ষই আবেদন করতে পারবে। অনিয়মের জন্য ‘নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল এবং সামগ্রিক নির্বাচন বাতিলের আবেদন করা যাবে। ’ এক্ষেত্রে অপরাধ সংঘঠিত হওয়ার স্থান, সময় ও তারিখ স্পষ্ট করে উল্লেখ করবে আবেদনকারী।

উভয়পক্ষের শুনানির পর ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনাল যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটাই চূড়ান্ত হবে।

নির্বাচিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র অবৈধ হলে, নির্বাচিত হওয়ার অযোগ্য হলে, দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ভোটের ফল অর্জন বা ফল অর্জনের জন্য কার্যকলাপ বা আচরণ করা হলে, নির্বাচিত প্রার্থী তার এজেন্ট বা অন্য কোনো ব্যক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে কোনো দুর্নীতিমূলক কার্যকলাপ বা বেআইনি আচরণ করলে এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা লঙ্ঘন করলে ট্রাইব্যুনাল নির্বাচিত প্রার্থীর নির্বাচন বাতিল করতে পারবেন। আবেদনকারী শুনানিতে হাজিরা দিতে না এলে বা অনুপস্থিত থাকলে আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।

আবেদনকারী শুনানির যে কোনো সময় আবেদন বা আপিল প্রত্যাহার করতে পারবেন। এছাড়া আবেদনকারী মৃত্যুবরণ করলে আবেদন বা আপিল বাতিল হয়ে যাবে। ট্রাইব্যুনাল বা আপিল ট্রাইব্যুনালের খরচ আবেদনকারীকেই বহন করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
ইইউডি/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।