ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সংঘর্ষ-মৃত্যুর দায় ইসির নয়, প্রার্থী-সমর্থকদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৫, ২০২২
সংঘর্ষ-মৃত্যুর দায় ইসির নয়, প্রার্থী-সমর্থকদের

ঢাকা: ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে সংঘর্ষ-মৃত্যুর জন্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায় নেই। দায় প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের।

এজন্য তারা যেন খুব আবেগী না হন।

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচন শেষে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এসব কথা বলেন।

ইসি সচিব বলেন, বিচ্ছিন্ন কয়েকটি কেন্দ্র ছাড়া সারাদেশে উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত আমরা যে রিপোর্ট পেয়েছি―তাতে প্রত্যাশা করছি যে আমাদের মোট ভোটার উপস্থিতি ৭০ শতাংশের ওপরে হবে। গত ২৮ তারিখের নির্বাচনেও ৭৪ শতাংশের ওপরেই ছিল ভোটার উপস্থিতি।

তিনি বলেন, যে কোনো মৃত্যুই আমাদের জন্য বেদনার। আপনারা জানেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুরের একটি ইউনিয়নে আমেনা খাতুন (৫০) যখন ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন, তখন দুই প্রার্থীর সমর্থকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়ে যান এবং তার মৃত্যু হয়। এটি আমাদের জন্য খুব দুঃখজনক ঘটনা।

একইরকম ঘটনায় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় মারা যান অংকুর দাশ (৩০)। এছাড়া বগুড়ার গাবতলীতে জাকির হোসেন এবং গাইবান্ধায় আবু তাহের নামের একজন প্রার্থীদের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে মারা যান।

ইসি সচিব বলেন, আমরা কিছুক্ষণ আগে যে রিপোর্টটি পেলাম, তাতে দেখেছি চাঁদুপুরের কচুয়া, হাইমচরে প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি খুব দুঃখজনক। আমরা প্রার্থীদের বলবো তারা যেন খুব আবেগী না হন। এটি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে।

ইসি সচিব বলেন, এ পর্যন্ত তিন হাজার ৭৭৩টি ইউপিতে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। আমরা তফসিল দিয়েছি চার হাজার ১৩৮টি ইউপিতে। মোট ইউপি হলো চার হাজার ৫৭৪টি। ৪৩৬টি ইউপি নিয়ে মামলা ও সীমানা জটিলতা থাকায় নির্বাচন করা যায়নি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, আমাদের প্রিসাইডিং অফিসারের নিয়ন্ত্রণ বর্হিভূত হওয়ায় নয়টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ করেছি। এছাড়া সিলেটের জকিগঞ্জে দুটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা কৃষি অফিসার যারা রিটার্নিং অফিসার ছিলেন―আইন বর্হিভূত কার্যকলাপের কারণে তাদের জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি এবং সেখানে নির্বাচন বন্ধ করেছি।

তিনি বলেন, আজকে ছয়জন মারা গেছেন। আমরা বলতে চাই, তারা ভোট দিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেছেন। কিন্তু এই ক’টি কেন্দ্র ছাড়া সারাদেশে উৎসবমুখর ভোট হয়েছে। এখন পর্যন্ত যেটুকু হয়েছে, বলবো ভালো হয়েছে। সামনে যেটি হবে আরও ভাল হবে।

নিরাপত্তা দিতে ইসি ব্যর্থ হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে হুমায়ুন কবীর বলেন, আমরা মনে করি আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। মুত্যুটা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক। আসল বিষয় হলো কী―এত বড় একটা ইলেকশন। ঘরে-পাড়ায় সবাই কিন্তু প্রতিযোগিতা করছে। কিন্তু এটা ভালো দিক যে ৭৫ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে এসেছে।

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৭০৮টি ইউপি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করে ইসি। পাঁচ ধাপের ইউপি নির্বাচনে এ পর্যন্ত ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন চার শতাধিক ব্যক্তি।

আগামী ৩১ জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে এবং ১০ ফেব্রয়ারি শেষ ধাপে প্রায় ৪০০ ইউপি নির্বাচন সম্পন্ন করবে ইসি।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৫, ২০২১
ইইউডি/এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।