ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সিলেট-৩ আসনে উপ-নির্বাচন

কেন্দ্রে এসেও ভোট দিতে পারলেন না জাপা প্রার্থী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১
কেন্দ্রে এসেও ভোট দিতে পারলেন না জাপা প্রার্থী

সিলেট: সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েও ভোট দিতে পারেননি জাতীয় পার্টির (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক।  

শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় দক্ষিণ সুরমার মোগরাবাজার ইউনিয়নের রেবতীরমণ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান আতিক।

এ সময় নিজের আঙ্গুলের ছাপ না আসায় ভোট দিতে পারেননি তিনি।  

পরে আতিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আমি ভোট দিতে গেলে ইভিএম মেশিনে ত্রুটির কারণে সম্ভব হয়নি। এভাবে অনেকে ভোট দিতে না পেরে ফিরে যাচ্ছেন।  

তিনি বলেন, কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে এটা ঠিক করতে বলেছি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) অভিযোগ দেওয়া হবে।  

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মাসুদ রানা বলেন, ইভিএম মেশিনে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। আঙ্গুলের ছাপ আসছিল না। তবে, সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি।  

এর আগে শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সোয়া ৮টায় নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি দক্ষিণ সুরমার কামালবাজারের ধরগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব। এ সময় হাবিবের সঙ্গে তার স্ত্রীও ভোট দেন।  

ভোট দেওয়া শেষে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে বিজয় চিহ্ন প্রদর্শন করেন তিনি। এ সময় নিজের বিজয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

আর বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী নিজের কেন্দ্র দাউদপুরের গৌছ উদ্দিন সিনিয়র আলীম মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এবারই প্রথম সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসনের নির্বাচনে তিন উপজেলার সাড়ে তিস লক্ষাধিক ভোটার ব্যালটবিহীন ইলেক্ট্রনিক্স ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিচ্ছেন। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

এ উপ-নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির আতিকুর রহমান আতিক, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত ও সাবেক এমপি শফি আহমেদ চৌধুরী এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া।

চলতি বছরের ১১ মার্চ করোনায় সংক্রমিত অবস্থায় সিলেটের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা যান। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১২৩ এর দফা (৪) অনুযায়ী, আসনটিতে নির্ধারিত ৯০ দিন, ৮ জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও করোনার তা সম্ভব হয়নি। এ অবস্থায় ৮ জুনের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তফসিল ঘোষণা করে ইসি। সেই তফসিল অনুযায়ী গত ২৮ জুলাই  উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ফের করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় এর দু’দিন আগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন আদালত। পরবর্তীতে ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণের দিন ধার্য করে নির্বাচন কমিশন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৫ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এনইউ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।