ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

১০০ বছরে এ রকম সুষ্ঠু নির্বাচন দেখা যায়নি: হানিফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২০
১০০ বছরে এ রকম সুষ্ঠু নির্বাচন দেখা যায়নি: হানিফ

ঢাকা: বাংলাদেশের গত ১০০ বছরের নির্বাচনকে পর্যবেক্ষণে আনা হলে ঢাকা উত্তর (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের মতো এমন অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন আর কখনো দেখা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়।

 

হানিফ বলেন, ‘আজকে যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আমার মনে হয়, এমন নির্বাচন আর কখনো দেখা গেছে কিনা এটা আমার সাংবাদিক বন্ধুরা ভালো বলতে পারবেন। ’

তিনি বলেন, ‘সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান অবৈধ উপায়ে ক্ষমতা গ্রহণের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের ভোটাধিকার বুটের তলায় পিষ্ট করেছিল। বিএনপি কখনোই জনগণের ভোটাধিকারে বিশ্বাস করে না। তারা মনে করে বন্দুকের নলই ক্ষমতার উৎস। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ অপশক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ’

হানিফ বলেন, ‌‘আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিছু অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। এ অভিযোগগুলো দেখে আমার বিশ্বাস সবার মধ্যে এটা ধারণা হয়েছে মির্জা ফখরুল এগুলো আগেই লিখে রেখেছিলেন। তিনি কয়েকটি অভিযোগ উত্থাপন করলেন যেগুলো হাস্যকরের মতো। বিএনপির সব অভিযোগগুলোই মিথ্যাচারে ভরা। এর কোনো ভিত্তি নেই। শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন পরিচালনা করে আজকে যখন ভোট হয়েছে, সে ভোটের পরে বিএনপি তাদের পরাজয়ের আশঙ্কা করে আগেভাগে কিছু অভিযোগ করার জন্য এ সমস্ত নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছে। ’ 

‘কোথায় বিএনপির পোলিং এজেন্টদের মারধর করা হয়েছে। কোথায় বের করে দেওয়া হয়েছে। একটা জায়গায় এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি যে, কাউকে মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে কোনো কোনো জায়গায় তাদের এজেন্টরা আসেনি। ’ 

মোহাম্মদপুরে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনার কথা আমাদের কানে এসেছে। মোহাম্মদপুরে একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কিছুটা গোলযোগ হয়েছে। সেটা বিএনপি সমর্থিত একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে। এটার সঙ্গে সরকারদলীয় কোনো ওয়ার্ড কাউন্সিলর বা কোনো মেয়র প্রার্থীর লোকের সংশ্লিষ্টা নেই। এটা বিএনপি সমর্থিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজেশ নামের যে প্রার্থী মোহাম্মদপুরে তার সঙ্গে কিছু দ্বন্দ্ব বা হাতাহাতি হয়েছে। ’ 

‘ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোটগ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্তব্যরতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ’ 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাখাওয়াত হোসেন শফিক, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এসকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।