ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

বিরোধীদের এজেন্ট নেই, ভোটারও কম উত্তরায়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২০
বিরোধীদের এজেন্ট নেই, ভোটারও কম উত্তরায়

ঢাকা: ভোটকেন্দ্রগুলোতে প্রধান বিরোধীদল বিএনপিসহ অন্য বিরোধীদলগুলোর পোলিং এজেন্ট নেই বললেই চলে। মধ্য দুপুর পর্যন্ত কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতিও কম। এমনই পরিবেশে চলছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আওতাধীন উত্তরা এলাকার ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। 

শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। এবারই প্রথম দুই সিটির প্রতিটি কেন্দ্রে একযোগে চলছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ কার্যক্রম।

 

এদিন সকালে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগের মধ্য দিয়ে শুরু হয় উত্তরায় ভোটগ্রহণ পর্ব। নওয়াব হাবীবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মারধর করে পোলিং এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ আনেন এক নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন। অভিযোগ জানান খোদ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলামের কাছেও।  

এমনই পরিবেশে উত্তরার বেশকিছু ভোটকেন্দ্র ঘুরেও দেখা মেলেনি বিএনপি বা অন্য বিরোধীদলগুলোর পোলিং এজেন্টদের। নওয়াব হাবীবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ ছাড়াও মালেকাবানু আদর্শ বিদ্যানিকেতন, মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল কলেজ, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল কলেজসহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা যায় এমনই চিত্র।  

তবে পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে আসতে দেওয়া হচ্ছে না বা এলেও বের করে দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাননি বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির সাধারণ ওয়ার্ড ১, ১৭ ও ১৮ এবং সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড ১ এর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এইচ এম কামরুল হাসান।  

বাংলানিউজকে এ কর্মকর্তা বলেন, আমি নিজে কোনো কেন্দ্রে দেখিনি যে, পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। যে কাউন্সিলর প্রার্থী এমন কথা বলছেন তিনি তো এখানেই আছেন। আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ তিনি করেননি। তবে শুনেছি সকালে তিনি বাইরে থেকে লোক এনেছিলেন কেন্দ্রে, তাই তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে।  

বাইরে থেকে লোক আনলেও তাদের বের করে দেওয়ার দায়িত্ব প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নাকি অন্য প্রার্থীর সমর্থকদের এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দেননি কামরুল হাসান।

অন্যদিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন চাপ লক্ষ্য করা যায়নি। বিভিন্ন বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার প্রথম আধা ঘণ্টায় কোনো ভোট পড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোট বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।  

নওয়াব হাবীবুল্লাহ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিজাইডিং অফিসার জানতে চাইলে বাগ্ময়ী দত্ত বলেন, আমার কেন্দ্রে প্রথম ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। এখন পযন্ত ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। আশা করি বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারের উপস্থিতিও বাড়বে। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাইনি। আমার কেন্দ্রে মোট ভোটার ২ হাজার ৭৪০ জন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এসএইচএস/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।