ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ঢাকা সিটি ভোট: প্রচারে সময় বাড়লো ৪৮ ঘণ্টা

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
ঢাকা সিটি ভোট: প্রচারে সময় বাড়লো ৪৮ ঘণ্টা

ঢাকা: আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনের তারিখ দু'দিন পেছানোয় প্রচারের সময় ৪৮ ঘণ্টা বাড়লো।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন পরিচালনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, নির্বাচনী আচরণবিধিতে বলা আছে, প্রার্থীদের প্রচার বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা আগে। যেহেতু ভোট পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি নেওয়া হয়েছে।

ওই দিন সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে। এক্ষেত্রে ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার ৩২ ঘণ্টা আগে অর্থ্যাৎ ৩০ জানুয়ারি রাত ১২টায় প্রচার বন্ধ করতে হবে।

৩০ জানুয়ারি ভোটের তারিখ বলবৎ থাকলে প্রচার শেষ হতো ২৮ জানুয়ারি রাত ১২টায়। সে হিসাবে ভোটের পরিবর্তিত তারিখ অনুযায়ী প্রচারে ৪৮ ঘণ্টা বেশি সময় পাচ্ছেন প্রার্থীরা।

তবে সময় বেশি পেলেও বিড়ম্বনা ছাড়ছেনা প্রার্থীদের। কেননা, ভোটের আগের তারিখ অনুযায়ী প্রায় সব প্রার্থীই পোস্টার ও প্রচার সামগ্রী তৈরি করেছেন। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে- ৩০ জানুয়ারি ভোট হওয়ার বিষয়টি। তারিখ পরিবর্তন হওয়ায় এখন নতুন তারিখ উল্লেখ করে তাদের নতুন করে প্রচার সামগ্রী ছাপাতে বা তৈরি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রার্থীদের প্রচার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে দুই সিটি ভোটের রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রচার ব্যয় যেটাই হোক, আচরণবিধিতে যে ব্যয়সীমা উল্লেখ করা আছে তার বাইরে যেতে পারবেন প্রার্থীরা।

নির্বাচনী বিধিমালা অনুযায়ী, মেয়র প্রার্থীরা ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা 'নির্বাচনী ব্যয়' হিসেবে ব্যয় করতে পারেন। আর ২০ লাখের বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা 'ব্যক্তিগত ব্যয়' হিসেবে ব্যয় করতে পারেন।

সে অনুযায়ী, ঢাকা দুই সিটি ভোটেই মেয়র প্রার্থীরা সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫২ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন।

কেননা, ৫৪টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড নিয়ে ডিএনসিসিতে মোট ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

আর ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডিএসসিসিতে মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

এক্ষেত্রে উত্তরে ভোটার প্রতি সর্বোচ্চ ব্যয়সীমা হচ্ছে ১ দশমিক ৬৬ টাকা। আর দক্ষিণে ২ দশমিক ১১ টাকা।

কাউন্সিলর প্রার্থিরা অনধিক ১৫ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, ১৫  হাজার এক থেকে ৩০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার ভোটার এলাকার জন্য সার্বোচ্চ ৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং ৫০ হাজার এক থেকে তার বেশি ভোটার এলাকার জন্য সর্বোচ্চ ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করতে পারেন।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী, প্রার্থীকে প্রত্যেক দিনের ব্যয়ের সব বিলের কপি, ব্যাংক থেকে উত্তোলিত অর্থের হিসাব বিবরণী, ব্যক্তিগত খরচের মোট হিসাব প্রভৃতি রিটার্নিং কর্মকর্তা কাছে জমা দেওয়ার বিধান রয়েছে। এক্ষেত্রে বিজয়ী প্রার্থিদের গেজেট প্রকাশে ৩০ দিনের মধ্যেই হিসাব জমা দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে। তবে হিসাবটা দিন অনুযায়ী এখন থেকেই রাখতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, জানয়ারি ১৮, ২০২০
ইইউডি/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।