ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

হাতে লিখে নয়, ভোটের ফল তৈরি করবে সফটওয়্যার

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৯
হাতে লিখে নয়, ভোটের ফল তৈরি করবে সফটওয়্যার ভোটের ফল তৈরি করবে সফটওয়্যার

ঢাকা: হাতে লিখে ফলাফল আর তৈরি করবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আরএমএস)। আর এর মাধ্যমেই  নির্বাচনী ব্যবস্থায় ডিজিটালাইশেন প্রক্রিয়ায় আরেক ধাপ এগিয়ে গেল সংস্থাটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আরএমএস সফটওয়্যারটি ফলাফল বিশ্লেষণের জন্য আরও আগে থেকেই ব্যবহার করা হতো। তবে এটির হালনাগাদ করা হয়েছে।

ফলে আগে ফলাফল প্রকাশের জন্য হাতে লেখা বার্তা শিট ব্যবহার করা হতো। এখন থেকে এই বার্তা শিট সয়ক্রিয়ভাবেই তৈরি হবে। গত ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। তবে যান্ত্রিক গোলযোগ কিংবা বৈদ্যতিক গোলযোগের কারণে হাতে লেখা বার্তাশিটও সে সময় তৈরি করা হয়েছে।
 
জানাগেছে, আসন্ন রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনেও সফটওয়্যার ভিত্তিক বার্তাশিট তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইসি উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এমন একটি নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। যেখানে বলা হয়েছে- একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচনেও আরএমএসের মাধ্যমে ফলাফল প্রেরণ করতে হবে। এক্ষেত্রে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রিজাইজিং কর্মকর্তা প্রদত্ত কেন্দ্রভিত্তিক ভোটগণনার বিবরণী থেকে ফলাফল আরএমএস’র মাধ্যমে প্রেরণ করতে হবে। কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল এন্ট্রি করার পর আরএমএস সয়ংক্রিয়ভাবে বার্তা শিট প্রস্তুত করবে। এরপর বার্তাশিট প্রিন্ট করে তাতে স্বাক্ষর করে সহাকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা পাঠাবেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। এভাবে সকল সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে ফলাফল নিয়ে সফটওয়্যারের মাধ্যমে একীভূত করবেন। ফলে যে বার্তাশিট তৈরি হবে তা নির্বাচন কমিশনের পাঠাবেন।
 
ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনের ফলাফল একটি নির্দিষ্ট শিটে প্রকাশ করা হয়। আর সেই শিটকেই বার্তাশিট বলা হয়ে থাকে। যেখানে প্রদত্ত ভোট, বাতিল ভোট, প্রার্থীদের ভোট, ভোটের হার ও মোট ভোট ইত্যাদির উল্লেখ থাকে।


রংপুর-৩ আসনের উপ-নির্বাচন আগামী ৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে।
 
রংপুর-৩ আসনের সাবের সংসদ সদস্য এইচএম এরশাদ গত ১৪ জুলাই চিকৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে সংসদ সচিবালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আ.ই.ম গোলাম কিবরিয়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রংপুর-৩ আসনটি শূন্য হওয়ার গেজেট প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে ১ সেপ্টেম্বর উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে কমিশন।
 
নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদপুত্র রাহগির আল মাহি এরশাদ (সাদ), বিএনপির রিটা রহমান, স্বতন্ত্র হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, এনপিপির শফিউল আলম, গণফ্রন্টের কাজী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
 
রংপুর-৩ আসনটি সদর উপজেলা এবং ১ থেকে ৮ নম্বর ব্যাতীত রংপুর সিটি করপোরেশনের ৯ থেকে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৪২ হাজার ৭২ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২১ হাজার ৩১০ জন ও নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৭৬২ জন।
 
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসনটিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নিয়েছিল ইসি। ১লাখ ৪২ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থী রিটা রহমান পেয়েছিলেন ৫৩ হাজার ৮৯ ভোট। মোট ভোট পড়েছিল ৫২ দশমিক ৩১ শতাংশ।
 

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৯
ইইউডি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।